ঈদে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রাঙামাটি
ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত পর্যটন শহর রাঙামাটি। ইতিমধ্যেই শহরের হোটেল-মোটেলগুলোতে কক্ষের অগ্রিম বুকিং শুরু হয়েছে। এবারও ঈদের পাঁচ দিনের ছুটিতে পার্বত্য জেলায় পর্যটকদের ঢল নামবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে তাপপ্রবাহ পর্যটকদের জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে। হোটেল-মোটেলের অগ্রিম বুকিং রেট অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রতিবছর রাঙামাটির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা ভিড় করেন। এরই মধ্যে রাঙামাটি সরকারি পর্যটন মোটেলের ৭০ শতাংশ রুম অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। প্রাইভেট হোটেল সাংহাইতে ৬০ শতাংশ কক্ষ রয়েছে এবং স্কয়ারে ৪০ শতাংশ কক্ষ রয়েছে।
পর্যটকদের স্বাগত জানাতে ইতোমধ্যে রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সে ঝুলন্ত সেতুর রং, রাস্তা মেরামত ও হোটেল কক্ষ পরিষ্কারের কাজ শেষ হয়েছে। তবে তীব্র গরমে পর্যটকদের অস্বস্তি হতে পারে। বৃষ্টি না হওয়ায় কাপ্তাই হ্রদের পানিও কমেছে।
রাঙামাটির আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটগুলোর মধ্যে রয়েছে ঝুলন্ত সেতু, শুভলংয়ের মনোমুগ্ধকর ফোয়ারা, রাজ বন বিহার, জেলা প্রশাসনের বাংলো, পুলিশ পলওয়েল পার্ক, কাপ্তাই লেকে নৌকা ভ্রমণ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফের সমাধি, বর্গী লেক, ইজোর, আসাম-বস্তি, কাপ্তাই রোডের সৌন্দর্য। ,পাহাড়ের শান্ত সবুজ গ্রাম আর তাদের জীবনযাপনের পথ। এছাড়া রাঙামাটি শহরের বাইরে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালি, কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর তীরে নির্মিত আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্ণফুলী পেপার মিলস ও কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান ইত্যাদি রয়েছে।
সাংহাই হোটেলের ব্যবস্থাপক শাকিল হোসেন জানান, তার হোটেলের ৬০ শতাংশ কক্ষ ভাড়া দেওয়া হয়েছে। বাকি রুমগুলোও ভাড়া দেওয়া হবে। সাজেক পর্যটনের হিলভিউ রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী ইন্দ্র চাকমা জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ঈদের ছুটিতে রুম ভাড়ায় পর্যটকদের হার কিছুটা কম। এ পর্যন্ত তার রিসোর্টের ৫০ শতাংশ কক্ষ ভাড়া নেওয়া হয়েছে।
রাঙামাটি সরকারি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া জানান, ঈদে দীর্ঘ ছুটি থাকায় পর্যটক আসার সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যটকদের স্বাগত জানাতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।