• বাংলা
  • English
  • বিনোদন

    শাকিব বলছেন বাটপার, প্রযোজকের প্রশ্ন মীমাংসায় বসল কেন?

    অভিনেতা শাকিব খান গতকাল ডিবি কার্যালয়ে অভিযোগ করে প্রযোজক রহমত উল্লাহকে ভন্ড ও মিথ্যাবাদী বলেছেন। রহমত উল্লাহ পুরো চলচ্চিত্রের মানুষের সাথে প্রতারণা করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। শাকিব বলেন, রহমত উল্লাহ ভুয়া প্রযোজক, বাটপার। রহমত উল্লাহ শুধু আমাকেই প্রতারিত করেননি, পুরো চলচ্চিত্রের মানুষকেও প্রতারিত করেছেন। দেশের কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে যারা আমাকে ভালোবাসে।

    শাকিব খানের মন্তব্যের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া থেকে রহমত উল্লাহ বলেন, ‘আমার প্রশ্ন, আমি যদি প্রতারক হই, আমি যদি ভুয়া প্রযোজক হই, তাহলে শাকিব কেন আমার সঙ্গে সমঝোতার জন্য বসলেন? জটিলতার সমাধান না করে তিনি মানুষকে হাসাতে থাকেন।

    শাকিব খান যেমন আইনি পথে গেলেন, রহমত উল্লাহও আইনি জবাব দেবেন এবং বলেছেন, আমি একজন ভুয়া প্রযোজক এবং প্রতারক, শাকিবের দাবি। আমি তার আইনগত জবাব দেব। দেশে এসে সব কাগজপত্র নিয়ে পুলিশের কাছে যাব। তারপর আইন ঠিক করবে কে প্রতারক। শাকিব ভালো করেই জানেন আমি ‘ওপরেশ অগ্নিপথ’ ছবির প্রযোজক।

    ঘটনার সূত্রপাত ১৫ মার্চ। ওই দিন অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার শুটিংয়ে শিডিউল ফাঁকি দেওয়া ও সহ-প্রযোজককে ধর্ষণের অভিযোগে শাকিব খানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। এরপর গত ১৬ মার্চ ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় বসে শাকিব খান ও রহমত উল্লাহ বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু, শাকিব খানের সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাস প্রমুখ। কিন্তু কোনো আপস হয়নি। পরে অভিযোগকারী প্রযোজক অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান।

    শনিবার রাতে প্রযোজকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে রাজধানীর গুলশান থানায় যান শাকিব খান। কিন্তু ‘আবেদন ত্রুটিপূর্ণ’ হওয়ায় মামলা নেয়নি পুলিশ। তাকে আবেদনপত্র সংশোধন করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

    পরদিন রোববার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে হাজির হয়ে প্রযোজকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন শাকিব খান। ডিবিও তার অভিযোগ আমলে নেয়। ডিবি বলছে, সাকিবের অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে।

    শাকিব খানের এসব অভিযোগের বিপরীতে অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রযোজক বলেন, ‘আমি যে অভিযোগগুলো করেছি তার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যাও নেই। আমি এখানে (অস্ট্রেলিয়া) আমার আইনজীবীর সাথে কথা বলছি। কীভাবে কী করবেন, আইনজীবী সিদ্ধান্ত নেন। কিছুদিনের মধ্যে আইনি লড়াই করতে বাংলাদেশে আসছি। দেশে এসে সব কাগজপত্র নিয়ে পুলিশের কাছে যাব। তারপর আইন ঠিক করবে কে প্রতারক।

    মন্তব্য করুন