• বাংলা
  • English
  • আন্তর্জাতিক

    ইউক্রেনকে দূরপাল্লার অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

    ইউক্রেনকে বিভিন্ন উন্নত অস্ত্রসহ আরও দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত দুই মার্কিন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। ওয়াশিংটনের নতুন সহায়তার মধ্যে রয়েছে প্রথমবারের মতো দূরপাল্লার রকেট, প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, সূক্ষ্ম নির্দেশিত যুদ্ধাস্ত্র এবং জ্যাভলিন অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক অস্ত্র।

    এই প্যাকেজের একটি বড় অংশ, প্রায় ১৭২.৫ মিলিয়ন ইউক্রেন সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্স ইনিশিয়েটিভ (USAI) থেকে আসছে। এই তহবিলটি রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের প্রশাসনকে মার্কিন সেনাবাহিনীর মজুত স্পর্শ না করে বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে অস্ত্র কেনার অনুমতি দেয়, একজন কর্মকর্তা বলেছেন। USAI অর্থায়নে, ওয়াশিংটন একটি নতুন অস্ত্র কিনতে যাচ্ছে, গ্রাউন্ড লঞ্চড স্মল ব্যাস বোমা (GLSDB), যা মূলত বোয়িং এবং সুইডিশ কোম্পানি SAAB দ্বারা যৌথভাবে তৈরি করা হয়েছিল। এই বোমার রেঞ্জ ১৫০ কিলোমিটার।

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি ইউক্রেনকে উন্নত যুদ্ধবিমানসহ আরও সামরিক সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

    এদিকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের চীন সফরের সময় এই আলোচনা হবে।

    মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ব্লিঙ্কেন ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি চীন সফর করবেন। এই সফরে তিনি চীনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করবেন। অন্যদিকে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুও রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। অত্যন্ত বিতর্কিত কোয়ালিশন সরকার গঠন করে দেশ-বিদেশে তীব্র চাপের মুখে পড়েছেন নেতানিয়াহু। ব্লিঙ্কেন ইসরাইল সফর করেন এবং অধিকৃত অঞ্চলে বসতি সম্প্রসারণের প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেন। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রেও নেতানিয়াহু প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন। বিশেষ করে, রাশিয়ার আক্রমণ সত্ত্বেও ইউক্রেনের জন্য একটি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সক্রিয় সমর্থন না পাওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে।

    মন্তব্য করুন