• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    রাজধানীর দুই জায়গায় সমাবেশ।আওয়ামী লীগ আজও মাঠে থাকবে

    বিরোধী দলের অন্যান্য কর্মসূচির মতো মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ। বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের দেশব্যাপী সমাবেশ ও পদযাত্রা কর্মসূচিতে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে অবস্থান নেবেন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা রাজপথে সতর্ক থাকবে। ক্ষমতাসীন দল রাজধানীজুড়ে এ ধরনের অবস্থান ছাড়াও অন্তত দুটি বড় সমাবেশসহ শোডাউন করবে। এ ছাড়া রাজধানীতে পৃথক দুটি শান্তি সমাবেশ করবে যুবলীগ। সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ফার্মগেটে এবং দুপুর সাড়ে ১২টায় মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দুটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
    নেতারা বলছেন, বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের আগের কর্মসূচিকে ঘিরে সম্ভাব্য নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস ঠেকাতে মাঠে নেমেছেন। তারা ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ, ৩০ শে ডিসেম্বরের গণমিছিল এবং ১১ জানুয়ারির গণপরিস্থিতিকে ঘিরে পূর্ণ প্রহরায় ছিল। আজ এবং সোমবার অনুরূপ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশ ও মিছিলের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে।
    জানা গেছে, বিএনপিসহ জোটের কর্মসূচি দুপুরের পর শুরুর ঘোষণা দেওয়া হলেও সকাল থেকেই ঢাকা মহানগরীর সর্বত্র অবস্থান নেবেন সরকার সমর্থক নেতাকর্মীরা।
    দিনব্যাপী এই অবস্থানে তারা রাজধানীর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মিছিল ও তদারকিও করবেন। ঢাকা ছাড়াও সারাদেশে সম্ভাব্য নৈরাজ্য ঠেকাতে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর যেকোনো স্থানে সহিংসতা ও ভাঙচুরের আশঙ্কা দেখা দিলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সরকার সমর্থকরা প্রতিরোধের চেষ্টা করবে।
    এই অবস্থানের অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর উত্তরের ২৬টি থানা, ৫৪টি ওয়ার্ড ও একটি ইউনিয়নে পাহারা বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দল ও সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রতিটি ওয়ার্ডে নিজ নিজ থানা ও ওয়ার্ডের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে অবস্থান নেবেন।
    অন্যদিকে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আওতাধীন ৭৫টি ওয়ার্ডে ওয়ার্ড সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের সজাগ পাহারা বসানো হবে। আর থানার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা ২৪টি থানার প্রধান পয়েন্ট বা মোড়ে অবস্থান নিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি তদারকি করবেন। বিশেষ করে নয়াপল্টনসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের রুটগুলো সতর্ক নজরদারিতে রাখা হবে। কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেবেন এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দিন। ওয়ার্ড ও থানাওয়ারি পদের তদারকির জন্য যথারীতি মহানগর দক্ষিণের ৭৫ নেতাকে ৭৫টি এলাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে।
    বড় শোডাউনের অংশ হিসেবে আজ ঢাকার দুই প্রান্তে দুটি বড় সমাবেশেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ব্যানারে সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিকাল ৩টায় রাজধানীর ভাটারা নতুন বাজার ১০০ ফুট সড়কের মাথায় অবস্থান কর্মসূচি ও শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা অংশ নেবেন।
    এসব কর্মসূচি সফল করতে দলের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা পৃথক বর্ধিত সভা করে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। গত শনিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণসহ সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা যৌথসভা করেন। ওই বৈঠক থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ সফল করতে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
    তবে এ অবস্থানকে পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে মানতে নারাজ আওয়ামী লীগ নেতারা। তাদের দাবি, গত ডিসেম্বরে বিজয়ের মাসের শুরু থেকেই রাজপথে আওয়ামী লীগের সতর্ক অবস্থান শুরু হয়। এখন বিএনপি ও তাদের জোট নাশকতা ও নৈরাজ্যের কর্মসূচি পালন করতে চাইলে তাদের সে সুযোগ দেওয়া যাবে না। এ কারণে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কর্মসূচির দিনগুলোতে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
    শনিবারের যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোনো পাল্টা কর্মসূচি দেয় না। জনগণের জানমাল রক্ষায় দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী মাঠে থাকবেন নেতাকর্মীরা। আগের দিনে যেমন ছিল, ভবিষ্যতেও তেমন অবস্থানে থাকবে।

    মন্তব্য করুন