• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    গাইবান্ধায় উপনির্বাচন।প্রথম দুই ঘণ্টা সিসিটিভি ক্যামেরায় কোনো অনিয়ম দেখা যায়নি: ইসি

    কঠোরতার হুঁশিয়ারি দিয়ে গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনের পুনঃভোট দেখতে বসে থাকা নির্বাচন কমিশন প্রথম দুই ঘণ্টায় সিসিটিভি ক্যামেরায় কোনো অনিয়ম দেখতে পায়নি।
    নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান মঙ্গলবার সবাইকে সতর্ক করে বলেছেন, অনিয়মের পুনরাবৃত্তি হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অনিয়মের গুরুত্ব দেখে ওই মুহূর্তে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমি বলতে পারি, কোনো ধরনের অনিয়ম আমরা বরদাস্ত করব না।
    গাইবান্ধার নির্বাচনী এলাকায় ৩২টি চর এলাকা রয়েছে। ইসি আইডিয়া প্রকল্পের ডিপিডি (যোগাযোগ) স্কোয়াড্রন লিডার শাহরিয়ার আলম জানান, দুর্গম এলাকায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে দুটি এবং প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে একটি করে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
    কনকনে শীতে, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে এই আসনের ১৪৫টি কেন্দ্রে ইভিএম চলছে, যা একটানা চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
    ইসির আইডিয়া প্রকল্পের ডিপিডি (যোগাযোগ) স্কোয়াড্রন লিডার মোঃ শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা থেকে সরাসরি এক হাজার ২৪২টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
    নির্বাচন কমিশনের পঞ্চম তলায় ইসি কন্ট্রোল রুমে সকাল ৮টা থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, মো: আলমগীর, রাশেদ সুলতানা ও আনিচুর রহমান রয়েছেন।
    ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন।
    নির্বাচনী এলাকার ১৪৫টি কেন্দ্রের ৯৫২টি বুথে ইভিএমে ভোট হচ্ছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় নয়টি কেন্দ্রে জেনারেটরে ইভিএম ও সিসিটিভি চালানো হচ্ছে।
    এর আগে সিসি ক্যামেরায় এক-তৃতীয়াংশ কেন্দ্রে অনিয়মের দৃশ্য দেখে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের মাঝপথে ঢাকা থেকে নির্বাচন স্থগিত করার নির্দেশ দেয় ইসি।
    বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের ইতিহাসে এটিই প্রথম ঘটনা যে, অনিয়মের কারণে সংসদীয় আসনের নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে (সকল কেন্দ্র) স্থগিত করা হয়েছে।

    মন্তব্য করুন