উচ্ছাস।মেসির বিশ্ব জয়ে আনন্দের রোশনি
স্লোগান, উল্লাস আর চিৎকার। বাঁশির আওয়াজ, রাতের আকাশে আতশবাজি। নীল-আকাশের বিশ্বজয়ে গতকাল রাতে অবারিত উচ্ছ্বাসে ভরে ওঠে ঢাকা শহর।
এর আগে বিশ্বকাপ জয়ের আশায় আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের ভক্তরা রাজধানীর রাস্তায় বড় পর্দায় খেলা উপভোগ করেন। অবশেষে টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার জয়ের পর রাজধানীর মগবাজার থেকে মালিবাগ, শান্তিনগর থেকে কাকরাইল ও পুরান ঢাকার ভক্তরা উল্লাসে ফেটে পড়েন।
নীল-সাদা জার্সি, পতাকা, বাঁশি, লণ্ঠন ও আতশবাজিতে পুরো শহর ছেয়ে গেছে। চ্যাম্পিয়নদের মিছিলে শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ, রিকশাচালক ও বিত্তবান সবাই স্লোগান দেয়। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উদযাপন। মিছিল-শোডাউনে আনন্দে আত্মহারা তারা।
এদিকে মেসির ঐতিহাসিক জয়ে টিএসসি, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল মাঠ, স্পোরজিৎ স্ববন্ধ চত্বর, রাজু ভাস্কর্যসহ বিভিন্ন হলে উল্লাস করছিল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থী ও ফুটবলপ্রেমীরা।
ভিকারুননিসার ছাত্রী তানহা মেসির সমর্থক। ভুভুজেলাকে নিয়ে বেইলি রোডে আসেন। উদযাপনের এই রাস্তায় তাদের দলের লম্বা পতাকা নিয়ে নেমেছে মেসির বাহিনী।
উৎসবে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম বলেন, মেসি আশ্চর্যজনক, মেসিই সেরা। একমাত্র অপূর্ণতা ছিল সোনালী বিশ্বকাপ। সেই স্বপ্নও আজ পূরণ হয়েছে।
‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ উপভোগ করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্যাম্পাসে আসেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। শিশুরাও তাদের বাবা-মায়ের সাথে আসে। তাদের অনেকের পরনে ছিল আর্জেন্টিনার জার্সি।
আরেক আর্জেন্টিনা সমর্থক শাহরিয়ার খান সাদ তার স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় আনন্দিত। তিনি বলেন, পুরো খেলাটাই উত্তেজনায় ভরপুর ছিল। ২০১৪ সালে ফাইনালে উঠলেও কাপ না পাওয়ার দুঃখ আজ মুছে গেল। আমি সত্যিই চাই মেসি একটি কাপ জিতুক। মেসি তোমাকে ভালোবাসি