• বাংলা
  • English
  • খেলা

    লুসাইলে আজ ক্লাব সতীর্থদের পুনর্মিলনী!

    বিশ্বকাপের কারণে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে ক্লাব ফুটবল। ফুটবলাররা তাদের জাতীয় দলের অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু লুসিলের আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ফাইনাল পরিণত হয় ক্লাব বন্ধুদের পুনর্মিলনে। ফাইনালের দুই বড় তারকা লিওনেল মেসি ও কাইলিয়ান এমবাপ্পে ফরাসি ক্লাব পিএসজির সতীর্থ। শুধু এই দুই তারকাই নয়, একই ক্লাবে খেলা আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের আরও বেশ কয়েকজন ফুটবলার একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

    সব বড় ফুটবল বিশেষজ্ঞদের মতে, ফাইনালে আর্জেন্টিনা-ফ্রান্সের পাশাপাশি মেসি-এমবাপ্পের দ্বৈরথ দেখতে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্ব। জাতীয় দলে প্রতিপক্ষ হলেও ক্লাব ফুটবলে দীর্ঘদিন ধরেই সতীর্থ। এমবাপ্পের সহায়তায় পিএসজির জার্সিতে ১১ গোল করেছেন মেসি। আর মেসির অ্যাসিস্ট থেকে ১৫ গোল করেন ফরাসি তারকা। জাতীয় দলের ম্যাচে এর আগে মাত্র একবার মুখোমুখি হয়েছেন এই দুই সুপারস্টার। এমবাপ্পের জোড়া গোলের সুবাদে ২০১৮ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে ফ্রান্স। এবার মেসি অবশ্যই প্রতিশোধ নিতে চাইবেন।

    বিশ্বকাপের ফাইনালে স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের জয়। লুসাইলে ফাইনালে খেলবেন তাদের চারজন খেলোয়াড়। তারা হলেন- আর্জেন্টিনার নাহুয়েল মোলিনা, রদ্রিগো ডি পল ও অ্যাঞ্জেল কোরেয়া এবং ফ্রান্সের আন্তোনিও গ্রিজম্যান। ফ্রেঞ্চ পেগ-মেকার গ্রিজম্যান তার ক্যারিয়ারের সেরা বিশ্বকাপ কাতারে কাটাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। ফ্রান্সের আক্রমণাত্মক ফুটবলের মূল স্থপতি তিনি। আর্জেন্টিনার মাঝমাঠ এবং রক্ষণভাগের প্রধান উদ্বেগের মধ্যে এই ফরাসী। তবে আলবেসেলেস্তে আত্মবিশ্বাসী হতে পারে যে গ্রিজম্যানের তিন অ্যাথলেটিক মাদ্রিদ সতীর্থ তাদের দলে রয়েছে। গ্রিজম্যানকে ডি পল-মোলিনাস ক্লাবে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন, যিনি তার শক্তি এবং দুর্বলতাগুলি ভালভাবে জানেন। তাই গ্রিজম্যানকে আটকানোর পরিকল্পনায় বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি।

    ইতালীয় ক্লাব জুভেন্টাসের ফাইনালেও দেখা হয় তিন বন্ধু- আর্জেন্টিনার অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া এবং লিয়েন্দ্রো পেরেদেস এবং ফ্রান্সের অ্যাড্রিয়েন রাবিওটের। রাবিওট জুভেন্টাসে বেশ কয়েকটি মৌসুম কাটিয়েছেন, ডি মারিয়া এবং পেরেদেস এই মৌসুমে জুভেন্টাসে যোগ দিয়েছেন। তাই সতীর্থ হিসেবে একসঙ্গে বেশি সময় কাটাতে পারেননি তারা। ক্লাবের বন্ধুত্বকে পাশে রেখে মাঠে নামবেন ফুটবলাররা। মাঠের লড়াইয়ে কেউ কাউকে এক চুলও দেবে না। বন্ধুদের এই যুদ্ধ ফাইনালের উত্তেজনাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।

    মন্তব্য করুন