জাতীয়

জামায়াত-শিবির এদেশে কিভাবে রাজনীতি করে: নুজহাত চৌধুরী

যারা রাজাকার যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে রাজনীতি করবে তারা এদেশে কোনো পদে আসতে পারবে না। এদেশে জামাত শিবির রাজনীতি করে কিভাবে? যাদের হাতে আমাদের বাবার রক্ত আছে তারা এখন বেনামে দল খুলছে। সাপ কি তার খোলস পরিবর্তন করে? সেই যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে দেশের অনেকেই রাজনীতি করছে।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় মূল বক্তব্যে এসব কথা বলেন শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. নুজহাত চৌধুরীর মেয়ে আলিম চৌধুরীর মেয়ে ।

 

তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবদানও আমরা প্রশ্নবিদ্ধ হতে দেখেছি। শহীদের সংখ্যা কেন প্রশ্নবিদ্ধ? খালেদা জিয়া নিজেই এক বিবৃতিতে শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এমন নির্লজ্জ রাজনীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। জয় বাংলা আমাদের সকলের স্লোগান। বাংলা স্লোগান। অনেকেই এই স্লোগান মানতে চান না। এদেশে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করে কোনো রাজনীতি হতে পারে না।

এ সময় শহীদ পিতার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ড. নুজহাত বলেন, বাবার খুনিকে মন্ত্রী হিসেবে কীভাবে দেখতে চান? খালেদা জিয়া নিজামী-মুজাহিদদের গাড়িতে পতাকা তুলেছিলেন, যে পতাকার জন্য আমাদের বাপ-দাদারা প্রাণ দিয়েছিলেন, সেই পতাকার জন্য আমাদের পিতাদের হত্যা করেছিলেন। আমার মা আদালতে দাঁড়িয়ে নিজামীর দিকে তাকিয়ে বললেন, তুমি আমার স্বামীর খুনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো: ওহিদুজ্জামান। কামালউদ্দিন আহমদ।

সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ডক্টর কামালউদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আছেন বলেই আজ আমরা সঠিক ইতিহাস জানতে পেরেছি। বিরোধী মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার এদেশের মাটিতেই হবে।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক প্রফেসর আইনুল ইসলাম, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোস্তফা কামালসহ বিভিন্ন দপ্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া সকালে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরিবিলি ক্যাম্পাসে ‘স্যার অবিথ বিরি আশাবেন’, ‘স্টপ জেনোসাইড’ নাটক মঞ্চস্থ হয়।

মন্তব্য করুন