আর ২ টি স্প্যান বসার সাথে সাথে পুরো পদ্মা সেতুটি দৃশ্যমান
পদ্মা সেতুর ৩৮ তম স্প্যানটি ইনস্টল হওয়ার ছয় দিন পরে, ৩৯ তম স্প্যানটি শুক্রবার দুপুর ১ টার দিকে ১০ ও ১১ খুটির উপর ইনস্টল করা হয়েছে। ফলস্বরূপ, ব্রিজটির মূল অবকাঠামো এখন ৫,৮৫০ মিটারে দৃশ্যমান।
আর মাত্র দুইটি স্প্যান বসালেই সম্পূর্ন পদ্মা সেতু।আগামী ২ ডিসেম্বর ১১ ও ১২ নম্বর খুটির উপর ৪০তম স্প্যান এবং ১০ই ডিসেম্বর ১২ ও ১৩ নম্বর খুটির উপর ৪১তম স্প্যান বসানোর লক্ষ নিয়ে কাজ চলছে।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্ত থেকে খুঁটিতে পদ্মা সেতুর স্প্যান বসানো শুরু হয়েছিল। তিন বছর ৫৭ দিন শেষে, শুক্রবার পর্যন্ত ৩৯ টি স্প্যান বসানো হলো।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সব স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হবে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রকৌশলী সূত্রে জানা গেছে, কুয়াশা পরিষ্কার শুরু হওয়ার পরে শুক্রবার সকাল দশটার দিকে লোহাজংয়ের কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডের স্টক জেটি থেকে ৩৯তম স্প্যান বহনকারী ভাসমান জাহাজ ‘টিয়ান-ই’ ছেড়ে যায়। রাত সাড়ে এগারোটার মধ্যে জাহাজটি মাওয়ার কাছে ১০ এবং ১১ নম্বর মেরুতে পৌঁছেছিল। এর পরে ধূসর স্প্যানটি দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার এবং ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি ক্রেন দ্বারা খুটির উপর বসানো হয়। পদ্মা সেতু (প্রধান সেতু) নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান। আবদুল কাদের জানান, পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল। ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সালে জাজিরা পাশের ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যানটি বসানো হয়েছিল, যার ফলে স্বপ্নের পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হয়েছে। তারপরে স্প্যানগুলি এক এক করে খুঁটিতে স্থাপন করা হয়।
বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নিজস্ব অর্থায়নে পুরো ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুটি ইস্পাত ও কংক্রিট কাঠামোয় নির্মিত হবে। ব্রিজের উপরে কংক্রিট স্ট্রাকচারে। চার-লেনের হাইওয়ে হবে। এবং রেলপথটি নীচে দিয়ে যাবে।