দেশে নতুন ছয় সাপ
দেশে নতুন ছয় প্রজাতির সাপের সন্ধান মিলেছে। এছাড়া সিলেট অঞ্চলের পর পার্বত্য চট্টগ্রামেও এক প্রজাতির সাপ পাওয়া গেছে। ইউরোপীয় বাণিজ্যিক সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট রিসার্চগেটে গত শুক্রবার একটি নতুন প্রজাতির সাপের বিস্তারিত একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। সোমবার চট্টগ্রাম অঞ্চলে সাপের সন্ধান পাওয়া গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয়।
সাপ সংরক্ষণের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশনের গবেষণা ও প্রকাশনা শাখার চারজন গবেষক এই সাপগুলো খুঁজে পেয়েছেন। দলটি জানিয়েছে, বাকি পাঁচটি নতুন সাপের বিষয়ে তাদের গবেষণা পত্র শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। এ নিয়ে দেশে বিচরণকারী সাপের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৯টি।
২৫ নভেম্বর রিসার্চগেটে প্রকাশিত ধোরা উপজাতির সাপটির নাম দেওয়া হয়েছে দাগযুক্ত ঘোড়া। অন্যান্য র্যাটল সাপের মত এর কোন বিষ নেই। সাপটি বেশ সরু এবং দেড় থেকে দুই ফুট লম্বা এবং নদী, জলাশয় ও পুকুরে বাস করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও নড়াইলের তুলারামপুরে এ সাপ দেখা গেছে। এর আগে ১৯৭৭ সালে ভারত ও নেপালে এই প্রজাতির সাপ দেখা গিয়েছিল।
সিলেটের পর চট্টগ্রামে যে সাপটি পাওয়া যায় তার নাম কলারেড ব্ল্যাক হেডেড বা ইয়েলো নেকড ব্ল্যাক হেডেড সাপ। দিনাচর সাপ এর আগে শুধুমাত্র সিলেট বিভাগীয় বনে রেকর্ড করা হয়েছিল। গবেষক দল পার্বত্য চট্টগ্রামেও এই সাপের সন্ধান পায়। এই সাপের দৈর্ঘ্য ৬০-৭০ সেমি। চিরসবুজ বনে বিরল সাপ বিচরণ করে। এই সাপটি পাঁচটি ডিম পাড়ে। এর আগে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ও রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সাপটি রেকর্ড করা হয়েছিল। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির জামচিওড়ি গ্রামে কালো মাথাওয়ালা সাপের সন্ধান পায় গবেষক দল।
গবেষণাটি করেন ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশনের রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন উইংয়ের ইফতেখার মাহমুদ, আদনান আজাদ, মাহফুজুর রহমান, আশিকুর রহমান। আদনান আজাদ আসিফ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে সাপ নিয়ে গবেষণা ও সচেতনতামূলক কাজ করে আসছি। সরীসৃপ নিয়ে গবেষণায় আমি দেশের ১৬টি জেলার নদী ও জলাভূমি জরিপ করেছি। আমাদের দেশের ৯৫% সাপ অ-বিষাক্ত। এরা অ-বিষাক্ত সাপ। যদিও বাকি পাঁচ শতাংশ সাপ বিষাক্ত, তবে তারা মারাত্মকভাবে ভীত বা আহত না হলে কখনও আঘাত করে না। পরিবেশের জন্য সাপ খুবই উপকারী প্রাণী। এ বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।