বড় দলগুলোর হারের সর্তক ব্রাজিল
শীত এলে কি বসন্ত দূর হতে পারে! যেখানে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে ঢুকে পড়েছে, সেখানে ব্রাজিলের জন্য অপেক্ষা কেন! বিশ্বকাপের বসন্ত পূর্ণ করতে আজ মাঠে নামছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। প্রতিপক্ষ সার্বিয়া। ভেন্যু লুসিল। হ্যাঁ, সেই একই মাঠে, যেখানে আগের দিন দীর্ঘশ্বাস ফেলেছিল আর্জেন্টিনা। মেসির অবস্থা দেখে কি নেইমার বাড়তি সতর্ক হবেন- সাংবাদিকদের সামনে এলে এমন প্রশ্ন শুনতে হবে ব্রাজিল কোচ তিতেকে। তবে ম্যাচ হারলেই দল খারাপ বলা ঠিক হবে না। আমি আজ এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে আসিনি। বিশ্বকাপে আমাদের লক্ষ্য নিয়ে কথা বলতে এসেছি। দলের প্রতিটি খেলোয়াড়েরই ব্রাজিলের ফুটবল সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য অবশ্যই ট্রফি।’
তবে আর্জেন্টিনার হারের পর গতকাল সন্ধ্যায় জাপানের কাছে জার্মানির হার, বড় দল হিসেবে ব্রাজিলও যে মানসিক চাপে থাকবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই টেস্টে ব্রাজিল কী করবে সেটাই দেখার বাকি।
এমনকি তাদের তিক্ত শত্রুরাও মেনে নেবে যে ব্রাজিল বিশ্বকাপে সর্বকালের ফেবারিট। তারাও মেনে নেবে, নেইমারকে সামনে রেখে স্বপ্ন দেখছেন তারা। অবশ্য গত দুইবার নেইমারকে নিয়ে এমন আশার ঘর তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এবার আমরা ভালো নেইমারকে পাচ্ছি। তার সঙ্গে চোটের ভয় নেই। তাছাড়া ক্লাবে দারুণ ফর্মে আছেন তিনি। এই নেইমারকে আমরা বিশ্বকাপে ভালো করতে চেয়েছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত গতবার তার ইনজুরি আমাদের সেই লক্ষ্য অর্জন করতে দেয়নি।’ ২০১৪ বিশ্বকাপের পর আবারও অধিনায়কত্ব পাওয়া থিয়াগো সিলভা এভাবেই নেইমারের প্রতি আস্থা প্রকাশ করলেন।
তবে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তিতে ও থিয়াগো দুজনেই একটি কথা বারবার বলার চেষ্টা করেছেন আর তা হলো, এই ব্রাজিল দল দু-একজন তারকার ওপর নির্ভরশীল নয়। অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, নেইমারের ওপর প্রত্যাশা রেখে দল সেরাটা পায়নি। এবার নেইমারকে আলোকিত রাখতে দলের বেশ কয়েকজন সদস্যের কথা বারবার উঠে আসছে।
২০০২ সালে জাপান-কোরিয়া থেকে বিশ্বকাপ জিতেছিল ব্রাজিল। দুই দশক পর এশিয়ায় আরেকটি বিশ্বকাপ। তাছাড়া এশিয়ায় অনেক ভক্ত রয়েছে। তাদের জন্য আপনি কী বলবেন- সিউলের এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে থিয়াগোর উত্তর ছিল- ‘আমি সমর্থকদের বলব, আমাদের বিশ্বাস করুন।