• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    ইডেনে ছাত্রলীগের ১৪ নেতাকর্মীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

    ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় বহিষ্কৃত ১৬ নেতাকর্মীর মধ্যে ১৪ জনের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার রাতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক উকার ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোনালী আক্তার, সুস্মিতা বাড়ই, জেবুন্নাহার শিলা, কল্পনা বেগম, আফরোজা রশ্মি, মারজানা ঊর্মি, সানজিদা পারভীন চৌধুরী, এসএম মিলি, সাদিয়া জাহান সাথী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা খানম বিনতি ও কর্মচারীবৃন্দ। ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। রাফিয়া নীলা, নোশিন শর্মিলী, জান্নাতুল লিমা ও সুচনা আখতারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে কলেজ ছাত্রলীগের জান্নাতুল ফেরদৌসী ও সাংগঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার বৈশাখীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়নি।

    ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ইন্দ্রনীল দেবশর্মা রনি বলেন, প্রজ্ঞাপনে যাদের নাম নেই তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়নি। এর মাধ্যমে আমরা একটি বার্তা দিতে চাই যে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কোনো ব্যবস্থা নিলে ছাত্রলীগ ছাড় দেবে না। তবে তারা (জান্নাত-বৈশাখী) সংগঠনের প্রতি অনুগত থাকবেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়াবেন না বলে আশ্বাস দিলে পরবর্তীতে তাদের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

    কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার চাঁদাবাজি, সিট বাণিজ্য ও হল দখলসহ নানা অনিয়ম নিয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসী। দুদিন পর রাত ১১টার দিকে শাখা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা তাদের হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়। এ সময় তার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগও ওঠে। পরদিন দিনভর নানা নাটকীয়তার পর দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন রাতেই ‘প্রাথমিক তদন্ত’ চালিয়ে কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করে কেন্দ্রীয় কমিটি। একইসঙ্গে ১৬ নেতাকর্মীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

    মন্তব্য করুন