বিরোধী দল শক্তিশালী হলে গণতন্ত্রও শক্তিশালী হয়: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিরোধী দল শক্তিশালী হলে গণতন্ত্রও শক্তিশালী হয়। তাদেরও কভারেজ দিন। আমরা মিডিয়ার কাছ থেকে আমাদের (যোগ্য) কভারেজ চাই। এর বেশি আমরা (আওয়ামী লীগ) চাই না। আমাদের যা আছে তা দাও।
তিনি বলেন, আমি দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশের মিডিয়ার সব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা আজ এসেছেন। আমি আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
বুধবার ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী হলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় আয়োজিত বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদের সঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
তিনি বলেন, গণমাধ্যম সমাজকে সঠিকভাবে চিন্তা করতে সাহায্য করে। গণমাধ্যমই পারে সমাজকে সঠিক পথে চালিত করতে। গণমাধ্যম যদি সমাজে ভুল বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করে।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিশ্বের কোনো সরকার শতভাগ নির্ভুল কাজ করেছে বা করবে বলে দাবি করতে পারে না। আমাদেরও দোষ আছে। ভুলগুলোকে যদি অনেক বড় দেখানো হয়, অর্জনগুলো ছোট দেখানো হয়; তাহলে সমাজে সঠিক ভাবমূর্তি ফুটে ওঠে না। আমরা মিডিয়ার সাহায্য চাই। কারণ গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণমাধ্যমের সাহায্য ছাড়া বহুমাত্রিক সমাজব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা বিতর্ক এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থার ভিত্তি গভীরে তলিয়ে যায় না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের ভুলগুলো অবশ্যই তুলে ধরতে হবে। সেই সাথে এই দেশ যে বদলে গেছে, বাংলাদেশের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসা-বিশ্বব্যাংকের প্রশংসা, জাতিসংঘের প্রশংসা, তা গণমাধ্যমে আসে না। এ ব্যাপারে আমরা সহযোগিতা চাই।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাসস-এর প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান সম্পাদক আবুল আজাদ প্রমুখ। সম্পাদক নঈম নিজাম, আজকের সম্পাদক গোলাম রহমান, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, আমাদের নিউ টাইমস সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবির, ডেইলি সান সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, কালের কণ্ঠ সম্পাদক শাহেদ মোহাম্মদ আলী, ভোরের কাগজ সম্পাদক শামসুল হক প্রমুখ। সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, চ্যানেল আই নিউজ প্রধান শাইখ সিরাজ, প্রতিদিন বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি ও প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক।
উপস্থিত সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বর্তমান সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সুভাষ সিংহ রায়, ঢাকা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মো. ঐক্য নজরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম হাসিব প্রমুখ।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, রমেশ চন্দ্র সেন, শাজাহান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, কোষাধ্যক্ষ এইচএন আশিকুর রহমান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ড. সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।