ড্রেসিংরুমে হস্তক্ষেপ করছে না বিসিবি
ক্রিকেটের সংস্কৃতি পাল্টানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ দল। এই প্রক্রিয়ার রূপকার সাকিব আল হাসান। অধিনায়কের দলের নিয়ম আমন্ত্রিত খেলোয়াড়দের প্রবেশাধিকার সীমাবদ্ধ করে। বিসিবি ম্যানেজারদেরও খুব বেশি কসরত করার সুযোগ নেই। জাতীয় দল সূত্রে জানা গেছে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এই নিয়ম জারি করেছেন সাকিব। ক্রিকেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, দলের পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনকেও প্রয়োজনের বেশি কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। কোচ শ্রীধরন শ্রীরাম ও সাকিবের নির্দেশনায় দল চলে। অধিনায়ক এই নিয়ম জারি করায় খুশি ক্রিকেটাররাও।
কে না জানে বাংলাদেশ দল নিয়ে কথা বলার লোকের অভাব নেই। বিসিবি কর্মকর্তারা সুযোগ পেলেই টিপস দিতে ভালোবাসেন। ক্রিকেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে জালাল ইউনুসের কথা বলার অধিকার থাকলেও ড্রেসিংরুমে সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে প্রয়োজনের বাইরে কথা বলেন না। মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটুকে সিডনিতে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কথা বলতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। ভালো পরিবেশ থাকলে ক্রিকেটাররা মনোযোগী থাকতে পারেন। ওরা বিশ্বকাপ ভালো খেলুক। বোর্ড চায় খেলোয়াড়রা নিজেদের জগতে থাকুক।
ক্রিকেটারদের জন্য কিছু নিয়ম করে দিয়েছেন সাকিব। তিনি তার সতীর্থদের বিশ্বকাপ চলাকালীন তাদের কার্যক্রম সীমিত করার পরামর্শ দিয়েছেন। চিঠিতে নেতার নির্দেশ পালন করছেন ক্রিকেটাররাও। যার কারণে দলের ভেতরে বাইরের কোনো ঘটনা ঢুকতে পারে না। স্বস্তি নিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান করতে পারেন। ড্রেসিংরুমের বর্তমান পরিবেশ সম্পর্কে জানতে চাইলে জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমি দেখেছি ছেলেরা নিজেদের গণ্ডির মধ্যে থাকার নিয়ম করে দিয়েছে। তারা যেমন নিজেদের মতো করে বাঁচতে চায়, সেখানে হস্তক্ষেপ করা ঠিক নয়। ক্রিকেটারদের যা বলার তাই বলুন শ্রীরাম ও সাকিব।’