জাতীয়

সুফি মিজানকে নিয়ে গবেষণা হতে পারে

শিক্ষা নয় কেবল, তিনি দীক্ষাও দেন।তাঁর সংস্থা ৮ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব দেয়। আবার, সংখ্যাটি ৩০টির বেশি তবুও তিনি নিয়মিত অফিস  করেন। প্রায় আশি বছর বয়সেও তিনি ত্রিশ বছর বয়সী এক যুবকের শক্তিতে এগোন তিনি। তিনি একজন কষ্টিপাথর! শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধির বার্তাবাহক।

এই তিনটি নীতিতে পিএইচপি পরিবার প্রতিষ্ঠিত। সুফি মিজানুর রহমানের পিএইচপি। বা পিএইচপির সুফি মিজান। দুটি শব্দই  একে অপরের সমার্থক।

সুফি মিজান জীবিত অবস্থায় একুশে পদক প্রাপ্ত প্রথম শিল্পপতি। যেখানেই গিয়েছেন, সাফল্য করায়ত্ত হয়েছে। মুখে সদা স্মিত হাসি বুঝতে দেয় না, কতটা পথ পেরিয়ে আজকের সূফি মিজান তিনি। কতটা পথ মাড়িয়ে নতুন নতুন পথের জন্ম দিচ্ছেন তিনি।তাঁর পিএইচপি পরিবারে দশ হাজারেরও বেশি কর্মচারী কাজ করছেন। কর্মীরা তাকে আগে কখনোই সালাম দিতে পারেনি। সুফি শব্দটি তাঁর কাছে কেবল শিরোনাম নয়। তিনি চলনে-ভূষণে সুফি।

ব্যবসায়ী মিজানকে এখনও জানা সম্ভব হয়নি। এর বাইরে হাজার হাজার পরিচয় রয়েছে। কখনও প্রেরণাদাতা, কখনও মোটিভেটর, কখনো পাবলিক স্পিকার, বা কখনো আপাদমস্তক একজন ওয়ায়েজীন। দখলে রেখেছেন একাধিক ভাষাও।এ ব্যক্তিকে গবেষণা করে তাকে চট্টগ্রামের ব্র্যান্ড ফেস করার দাবি উঠেছে।

ফেসবুক ভিত্তিক গ্রুপ টিম সাঙ্কোর পাতায় এমন দাবি করা হয়েছে। যেখানে শত শত মানুষ এতে একমত হয়েছেন।

বাইরের বিশ্বকে বাদ দিলে প্রতিবেশী ভারতে এ জাতীয় উদাহরণ সর্বদা পাওয়া যায়। মুকেশ আম্বানি, রতন টাটা বা আজিম প্রেমজিরা অনেক আগে সেখানে একাডেমিক শিক্ষার্থী হয়েছেন। একটা আফসোস তো কাজ করেই; মিজান সাহেবকে নিয়ে এখনো সেই অর্থে তেমন কিছু চোখে পড়েনি। নিজের অনেকগুলো পরিচয়ের একটা কিন্তু শিক্ষা উদ্যোক্তাও তিনি।চট্টগ্রাম ব্যবসায়ীদের শহর। খাতুনগঞ্জ, চাকতাই, রিয়াজউদ্দিন বাজার বা বন্দর; চাটগা মানে ব্যবসায়ীদের আবাস। তিনি সাধারণ হিসাবে যতটা দুর্দান্ত, তিনি সহজেই বাকী ব্যবসায়ীদের থেকে অনেক আলাদা তিনি অনেক আগেই একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছেন।

ব্র্যান্ডিং দৃষ্টিকোণ থেকে তবে অনেকগুলি ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সঠিক উপায়ে নিযুক্ত হতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, অমিতাভ বচ্চন হলেন ভারতের গুজরাটের ফেস বা অ্যাম্বাসেডর,শাহরুখের মতো পশ্চিমবঙ্গে, সম্প্রতি পাঞ্জাবে সোনু সুদকে নেওয়া হয়েছে।

সূফি মিজান চাঁটগার ব্র্যান্ডিং ফেস হয়ে গেলে কী অতিরঞ্জন হবে! আমি মনে করি না আপনাকে বিকল্প খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে। দেশের উন্নয়নে, সার্বিক উন্নয়নে এ জাতীয় ব্র্যান্ডিং দীর্ঘকাল ধরে চালু রয়েছে।

সবার আশা সূফী মিজানকে নিয়ে কিছু একাডেমিক রিসার্চ হবে এবং তিনি ব্র্যান্ড হিসেবে সমাদৃত হবেন আরও বড় পরিসরে।

মন্তব্য করুন