গ্রিড বিপর্যয়: এবার ৪ বিতরণ কোম্পানির পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন
৮ অক্টোবরের গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে চারটি বিতরণ কোম্পানি পৃথক কমিটি গঠন করেছে। সোমবার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিগুলো এই কমিটি গঠন করে। তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
গত ৪ অক্টোবর দেশে গ্রিড বিপর্যয় ঘটে। ওই দিন ঢাকাসহ পূর্বাঞ্চলের ৩২টি জেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ঘটনার পর ইয়াকুব এলাহীর নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালক (পিঅ্যান্ডডি) মো. এছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগের একটি কমিটি ও বিশেষজ্ঞদের আরেকটি কমিটি এই গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনা পর্যালোচনা করছে।
পিজিসিবি কমিটি রোববার বিদ্যুৎ বিভাগে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে বিতরণ কোম্পানির দায়ীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
সোমবার বিপর্যয়ের কারণ জানতে বিতরণ কোম্পানিগুলোকে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। নির্দেশনা অনুযায়ী, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) এবং পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (পিডিবি) এবং পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) পৃথক কমিটি গঠন করেছে।
তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ডিপিডিসি। প্রধান প্রকৌশলী (গ্রিড) এএইচএম মহিউদ্দিন আহবায়ক ডেসকোর তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন প্রধান প্রকৌশলী (নেটওয়ার্ক অপারেশন) ড. মনজুরুল হক। প্রধান প্রকৌশলী (উৎপাদন) খন্দকার মোকাম্মেল হোসেনকে আহ্বায়ক করেছে পিডিবির চার সদস্যের তদন্ত কমিটি। আরইবি কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন প্রধান প্রকৌশলী (পিওপি)। মহিউদ্দিন প্রতিটি কমিটিতে বিদ্যুৎ বিভাগের একজন করে সদস্য রয়েছেন। কমিটিগুলোকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
জানতে চাইলে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেদিন আসলে কী ঘটেছিল তা তারা বিশ্লেষণ করবে। ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আমির আলীও একই মন্তব্য করেন।
পিজিসিবির সিস্টেম প্রোটেকশন অ্যান্ড মিটারিং ডিপার্টমেন্টের দুই প্রকৌশলী, যারা ট্রান্সমিশন ম্যানেজমেন্ট প্রোটেকশনের দায়িত্বে আছেন, তদন্ত প্রতিবেদনের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রিড বিপর্যয়ের দিনে তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করার জন্য তাকে রবিবার বরখাস্ত করা হয়েছে।