• বাংলা
  • English
  • আন্তর্জাতিক

    ট্রাম্প চলে যাওয়ার আগে ইরানকে আক্রমণ করার অজুহাত খুঁজছেন

    নির্বাচন হেরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কী করবেন তা জানেন না। সুতরাং ক্ষমতা ছাড়ার আগে তিনি ইরানের উপর হামলার পরিকল্পনা করছেন। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ওভাল অফিসে শীর্ষ উপদেষ্টাদের সাথে বৈঠকে বসেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার পরামর্শদাতাদের জিজ্ঞাসা করছেন ইরানের মূল পারমাণবিক স্থাপনাটিতে হামলার চালানোর সুযোগ আছে কিনা-সোমবার নিউইয়র্ক টাইমস জড়িত চার কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।

    ট্রাম্প মূলত ইরানের নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালাতে চেয়েছিলেন। জাতিসংঘ গত সপ্তাহে জানিয়েছিল, ইরান ওই স্থাপনায় পরমাণু সমঝোতায় অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে ১২ গুণ ‘সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম’ মজুদ করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও, জেনারেল মিলিসহ উপস্থিত অন্য উপদেষ্টারা ট্রাম্পকে এই বলে সতর্ক করে দেন- ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালালে মধ্যপ্রাচ্যে বিশাল আকারে সামরিক সংঘাত বেধে যেতে পারে। এ ছাড়া মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে এমন সংঘাত বাধানো ঠিক হবে না বলেও জানান ট্রাম্পের উপদেষ্টারা। তারা বলেন, ইরানে হামলা চালালে উদ্ভূত পরিস্থিতি আর ওয়াশিংটনের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। ট্রাম্প প্রশাসনের কয়েক কর্মকর্তা অবশ্য জানিয়েছেন, সতর্ক করার পরও প্রেসিডেন্ট এখনও সম্ভবত ইরানে হামলার পাঁয়তারা থেকে পিছু হটেননি।

    এদিকে বিবিসি জানিয়েছে যে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আফগানিস্তান ও ইরাক থেকে আরও সেনা প্রত্যাহারের আদেশ দিতে পারেন। তেহরান সম্পর্কে আক্রমণাত্মক হওয়া সত্ত্বেও, তিনি আফগানিস্তান-ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহার করার জন্য তাড়াহুড়োয়। মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন যে জানুয়ারীর মাঝামাঝি সময়ে আফগানিস্তান থেকে সেনাবাহিনীর সংখ্যা প্রায় ৫০০০ থেকে কমিয়ে আড়াই হাজারে নামানো হবে। আর ইরাকে সেনা সংখ্যা সাড়ে তিন থেকে আড়াই হাজারে নামিয়ে আনা হবে।

    মন্তব্য করুন