বিরোধিতার মধ্যে আজ কাউন্সিল, ভাঙনের শঙ্কা
হেফাজতে ইসলাম শাহ আহমদ শফির উত্তরসূরি নির্বাচন করতে চলেছে। এ জন্য রবিবার চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সংগঠনের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে কাউন্সিলকে অবৈধ বলে আখ্যা দিয়েছেন আমন্ত্রণ না পাওয়া নেতারা।
এ জাতীয় পারস্পরিক অবস্থানের ফলস্বরূপ সংগঠনে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
হেফাজতের সিনিয়র নায়েব আমির মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী কাউন্সিল আহ্বান করেছেন।বিরোধীরা দাবি করেছেন যে মুহিবুল্লাহকে বরখাস্ত করা হয়েছে, সুতরাং তিনি কাউন্সিল করতে পারবেন না। এবং মুহিবুল্লাহর সমর্থকরা বলেছেন যে তিনি পদত্যাগ জমা দিয়েছিলেন, কিন্তু আহমদ শফি তা গ্রহণ করেননি। ফলস্বরূপ, তিনি সংগঠনে রয়েছেন।
এদিকে কিছু লোক মনে করেন বর্তমান মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী আমির হতে পারেন। এ ছাড়া কিছু লোকের নাম আলোচনায় থাকলেও তাদের ধারণা,ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা নূর হোসেন কাসেমি মহাসচিব হতে পারেন। তিনি বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের সহযোগী ওলামায়ে ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল।
কাউন্সিলের বিরোধীরা বাবুনগরী ও কাসেমিকে বিএনপি-জামায়াতের ঘনিষ্ঠ বলে অভিহিত করেছেন। তারা গতকাল চট্টগ্রাম ও ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে একতরফা কমিটি গৃহীত হবে না।
হেফাজতের নামে বিরোধীরা একটি পাল্টা সংস্থা গঠন করতে পারে এমন আলোচনাও চলছে।
আহমদ শফির নেতৃত্বে গঠিত হওয়ার পথম চার বছর কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক সংগঠন হেফাজত চট্টগ্রামে সীমাবদ্ধ ছিল।
এদিকে কাউন্সিল ডাকা নিয়ে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ প্রশ্ন তুলেছেন, পদত্যাগকারী নেতা কী করে কাউন্সিল ডাকেন? আরেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঈনুদ্দিন রুহি একই কথা বলেছেন। তার বক্তব্য, পদত্যাগকারী নেতার কাউন্সিল আহ্বানের এখতিয়ার নেই। জুনায়েদ বাবুনগরীর বিরোধী হিসেবে পরিচিত এই দুই নেতার নেতৃত্বেই কাউন্সিলের বিরোধিতা চলছে। তাদের সঙ্গে আহমদ শফীর দুই ছেলে রয়েছেন বলে দাবি করা হলেও তাদের প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।
হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ইসলামবাদী বলেছেন, মুহিবুল্লাহ বাবুনগরীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি আহমদ শফী। এ হিসেবে মুহিবুল্লাহ হেফাজতে বহাল রয়েছেন। তাই তিনি কাউন্সিল আহ্বান করতে পারেন। এসব নিয়ে মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী মন্তব্য করতে রাজি হননি।