দুর্নীতি ও হয়রানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।এবার চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে অবস্থান কর্মসূচি
রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম স্টেশনে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। রোববার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চার শিক্ষার্থী ছয়টি দাবি নিয়ে ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে জায়গা দখল করে।
এর আগে গত ৮ জুলাই একই দাবিতে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। সেই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে গত ১১ জুলাই চতুর্থ বর্ষের ছাত্র কাজী আশিকুর রহমান, তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ মাহিন রুবেল, মাহবুব হাসান ও মোহাম্মদ মাসুদ তার সঙ্গে যোগ দেন। এবার তারা চট্টগ্রাম স্টেশনে অবস্থান করেছেন।
বিক্ষোভকারী মাহিন রুবেল জানান, ঢাবি শিক্ষার্থী রনির ছয়টি দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এই কর্মসূচি। রেলওয়েতে ব্যাপক দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে দুর্ভোগ বাড়ছে। এতে হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। রনির সাথে যা ঘটেছে তার একটি উদাহরণ মাত্র।
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অংশ হিসেবে তারা স্টেশন মাস্টার রতন কুমার চৌধুরী ও রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কলম উপহার দিয়ে অবস্থান শুরু করেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদী স্লোগান ও বিভিন্ন গান গেয়ে কর্মসূচি চলবে।
দাবিগুলো হলো- অবিলম্বে টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সহজ ডটকম কর্তৃক যাত্রীদের হয়রানি বন্ধ করা এবং হয়রানির ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া; টিকিট কালোবাজারি বন্ধ; অনলাইন-অফলাইন টিকিট ক্রয়ের সমান অ্যাক্সেস নিশ্চিত করা; যাত্রী চাহিদা বিবেচনায় ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ রেলওয়ে অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ; টিকিট পরীক্ষক ও তত্ত্বাবধায়কসহ সকলের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ, একটি শক্তিশালী তথ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং ট্রেনে ন্যায্যমূল্যের খাবার নিশ্চিত করা, বিশুদ্ধ পানির বিনামূল্যে সরবরাহ এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনসহ রেলওয়ে পরিষেবার মান উন্নয়ন।
এ বিষয়ে জানতে স্টেশন মাস্টার রতন কুমার চৌধুরীকে ফোন করা হলে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া কোনো মন্তব্য করা যাবে না।