• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু হবে পদ্মার আদলে

    পদ্মা সেতুর আদলে তৈরি হবে চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু। এ সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে ৬ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা। সেতুটি ৭৮০ মিটার দীর্ঘ হবে। ভায়াডাক্ট হবে ৫.৬২ মিটার এবং স্প্যান হবে ১০০ মিটার । সেতুটির উচ্চতা হবে ১২ দশমিক ২ মিটার। বুধবার সকাল ১১টায় রেলওয়ে ইস্টার্ন হেডকোয়ার্টার সিআরবিতে কালুরঘাট রেল-কাম রোড সেতুর অগ্রগতি সংক্রান্ত এক সভায় এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে নতুন সেতুর প্রস্তাবিত নকশা ও আনুষাঙ্গিক নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মোসলেম উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ বছরই সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন।

    কালুরঘাটে বিদ্যমান সেতু থেকে হালদারের ৭০ মিটার উজানে একটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে। এছাড়া একটি সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে, যা হবে রোডস ও হাইওয়ে। কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এক্সিম ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইওশিন ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন পূর্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে সেতুটির অবস্থান, নকশা, ব্যয় এবং নির্মাণকাল সম্পর্কে একটি প্রাথমিক প্রস্তাব জমা দিয়েছে। বৈঠকে সংসদ মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন, জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইওশিন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের কর্মকর্তারা এবং রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    মোসলেম উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে কর্ণফুলীর তৃতীয় সেতু উদ্বোধন করতে এসেছিলেন। সেদিন আমরা সিডিএ মাঠে জনসভা করেছিলাম। সেখানে তিনি কালুরঘাটে আরেকটি সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন। যার মধ্যে একদিকে গাড়ি এবং নীচে ট্রেন চলতে পারে। এবার সেই স্বপ্নের সেতু তৈরি হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমার আগে যিনি এলাকার এমপি ছিলেন তিনিও কালুরঘাটে নতুন সেতু নির্মাণের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু করেননি। দুর্ভাগ্যক্রমে, বিভিন্ন জটিলতার কারণে, এটি একনেকে ফিরে এসেছে। কিন্তু তখন খরচ অনেক কম ছিল। অবশেষে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর আবারও কাজ শুরু করি। করোনা সংকটের মধ্যে মন্ত্রণালয় ও অর্থায়নের জন্য বারবার আলাপ-আলোচনার পর পুনরায় টেন্ডার করা হয়েছে। ওই টেন্ডারে আগে যারা পড়াশুনা করেছিল তারা আবার কাজ পেয়েছে। ফলে খুব অল্প সময়েই নকশা জমা পড়ে। একনেকে অনুমোদন পেলে শিগগিরই সেতুর মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরু হবে।

    বৈঠক শেষে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, যত দ্রুত সম্ভব সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করার চেষ্টা চলছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করতে ৬-৭ মাস সময় লাগবে। আগামী আগস্টে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। এ বছরই সব টেন্ডার জটিলতার অবসান হবে। এ বছরই কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের চেষ্টা চলছে। সেতুর উপর দিয়ে গাড়ি চলবে, নীচে ট্রেন। এই সেতুর যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করবে কোরিয়া সরকার।

    কালুরঘাটের বর্তমান সেতুটির অবস্থা খুবই খারাপ। অনেক আগেই বিপজ্জনক ঘোষণা করা হলেও ট্রেনের পাশাপাশি সাধারণ যানবাহনও এই সেতু ব্যবহার করে।

    মন্তব্য করুন