৩০ মণের রাজা ও ৩৮ মণের মহারাজায় ”কাঁপছে” দিনাজপুর
৩০ মণের ওজনের রাজার দাম চাওয়া হচ্ছে ১২ লাখ টাকা। আর ৩৮ মণ ওজনের মহারাজার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ লাখ টাকা। দিনাজপুরের ফ্রিজিয়ান জাতের এই দুই গরুর কথা সবাই বলছেন। এ দুটি গরু জেলায় আকর্ষণীয় ও বড় বলে সংশ্লিষ্ট খামারিরা বলছেন।
ফুলবাড়ী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক গোলাম মোস্তফা সাড়ে চার বছর ধরে ‘দিনাজপুরের রাজা’ লালন-পালন করছেন। চিরিরবন্দর উপজেলার ঘুঘুরাতলী বাজারের কৃষক আপেল আহমেদ প্রায় পাঁচ বছর ধরে মহারাজা লালন-পালন করছেন।
রাজা ও সম্রাটদের খাবারের তালিকায় রয়েছে সবুজ ঘাস, ভেজানো ছোলা, গমের ভুসি, খৈল-মিষ্টি কুমড়া এবং আরও অনেক পুষ্টিকর খাবার। এই দুটি গরুকে দিনে ৩ থেকে ৪ বার গোসল করাতে হয়, দামী সাবান ও শ্যাম্পু ব্যবহার করা হয়। মশার কামড় ঠেকাতে মশা নিরোধক স্প্রে করা হয়।
রাজার মালিক গোলাম মোস্তফা জানান, দিনাজপুরের রাজার দাম ১২ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হলেও কম বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে। খাবার বাবদ প্রতিদিন প্রায় হাজার টাকা খরচ হয়। এ পর্যন্ত আমার পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। যে কেউ যোগাযোগ করে গরুটি দেখে পছন্দ হলে কিনতে পারেন।
মহারাজা গরুর মালিক আপেল মাহমুদ জানান, গরুগুলোর বয়স পাঁচ বছরের বেশি হবে। আমি এর নাম দিচ্ছি মহারাজা। গত কোরবানির ঈদে ঢাকায় গরু নিয়ে যাই। কিন্তু অনলাইনে গরু বিক্রির কারণে এই গরুর দাম তেমন একটা বাড়েনি। তারপর গরুটা বাসায় নিয়ে আসি। এই গরুর দাম ধরা হয়েছে ১ লাখ টাকা।
রাজার তত্ত্বাবধায়ক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দিনাজপুরের রাজাকে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়। তাকে বিক্রি করলেও বড় ঝামেলা হবে।