• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    ৭ ই মার্চের ভাষণস্হল ২৬ ফুট উঁচু ‘বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য’

    সরকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ‘বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য’ তৈরি করতে চলেছে যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান 7 ই মার্চ, ১৯৭১ সালে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিয়েছিলেন। এখানেই বঙ্গবন্ধু তার তর্জনী উঁচিয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ।’ বঙ্গবন্ধুর সেই তর্জনী উত্থাপিত ভাস্কর্যটি এখানে থাকবে। ২৬ ফুট উঁচু। ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরি করা হবে।

    এই মাসে ভাস্কর্যটি নির্মাণের জন্য কাজের আদেশ দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ ও সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মিত হচ্ছে।

    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী একিউএম মোজাম্মেল হক বলেন, “বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাঁর ভাস্কর্যটি উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে করোনার পরিস্থিতি সহ বিভিন্ন কারণে এটি সম্ভব হয়নি। এখন আমরা খুব শীঘ্রই বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরি শুরু করতে চাই। মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কাজ করছে।

    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটির নকশা সহ অন্যান্য যাবতীয় বিষয় চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভাস্কর্যটি নির্মাণের জন্য এই মাসে একটি কাজের আদেশ আহ্বান করা হবে।

    সচিব বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর এই ভাস্কর্যটি উদ্বোধনের পরিকল্পনা ছিল এবং রয়েছে; তবে করোনার পরিস্থিতিতে আমরা কিছুটা পিছিয়ে আছি। এর পরেও, কাজের আদেশের শর্তাবলী ১০ থেকে ১২ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার বিষয়টি থাকবে। এখন এটি নির্ভর করে কাজের গতির উপর।

    মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, তত্কালীন আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৮ সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্মৃতিসৌধ সংরক্ষণের জন্য প্রকল্পটি হাতে নেয়। প্রকল্পটি ২০০৭ সালের জুনে বাস্তবায়নের কথা ছিল। তবে দুই দফা সম্প্রসারণের পরেও প্রকল্পটির কাজ শেষ হয়নি। এদিকে, চলতি অর্থবছরে প্রকল্পের তৃতীয় ধাপের বাজেটে ২৬৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর আওতায় তার তর্জনী উত্থাপন করে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের ভাস্কর্য তৈরি করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই প্রকল্পের আওতায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণকারী স্থানও ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরি করা হবে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানি জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী এবং মিত্র জোটের চিফ অফ স্টাফ জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা সহ ১১ জন স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

    সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গ্লাস টাওয়ার, শিখা চিরন্তন, স্বাধীনতা যাদুঘর, ঝর্ণা, জলাশয় এবং মুক্ত মঞ্চ ইতিমধ্যে স্বাধীনতা প্রকল্পের দুটি পর্যায়ে নির্মিত হয়েছে। এখন, প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশেপাশের স্মৃতিসৌধ সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ কারণেই শিশু পার্কটি ভেঙে পুনরায় সাজানো হচ্ছে। থিম পার্ক, ৫৭০টি ভূগর্ভস্থ গাড়ি পার্কিং, হালকা এবং সাউন্ড শো, ঝর্ণা এবং আরও অনেক কিছু থাকবে।

    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন যে প্রকল্পটি খুব বড়। আমরা ইতিমধ্যে অনেক কাজ শুরু করেছি। পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য শিশু একাডেমি ও শাহবাগ থানা সরানো হবে। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    মন্তব্য করুন