• বাংলা
  • English
  • আবহাওয়া

    ৭৬টি ট্রেনের সময়সূচী বাতিল।বিকেলে গুজরাটে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’

    ভারত-পাকিস্তান উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’।ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি ক্যাটাগরি-৩ ‘চরম ঘূর্ণিঝড়’ ভারতের গুজরাট এবং পাকিস্তানের করাচি উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবের কারণে উপকূলে ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।

    ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাট এবং পাকিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিন্ধুর উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, সকাল ৮টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ‘বিপারায়া’ গুজরাট উপকূল থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে ছিল। আজ বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে ভারতের গুজরাটের কচ্ছ ও সৌরাষ্ট্র এবং পাকিস্তানের মান্ডভি ও করাচির মধ্যবর্তী জাখাউ বন্দর অতিক্রম করবে। এর প্রভাবে ভারতের গুজরাটের কচ্ছ, দেবভূমি দরগা এবং জামনগরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এমনকি ভারী বৃষ্টির কারণে কচ্ছ জেলায় বড় ধরনের ভূমিধস হতে পারে।

    ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি এড়াতে ভারত ইতিমধ্যে গুজরাট উপকূল থেকে ৭৪,০০০ বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কমলা ও হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    শুক্রবার পর্যন্ত সব ধরনের মাছ ধরার কার্যক্রম স্থগিত করেছে ভারত। বন্দরের সকল কার্যক্রমও স্থগিত করা হয়েছে।

    যাত্রীদের নিরাপত্তায় দেশের পশ্চিমাঞ্চলে ৭৬টি ট্রেনের সময়সূচি বাতিল করেছে ভারত। গুজরাটের দুটি বিখ্যাত মন্দির, দেবভূমি দ্বারকার দ্বারকাধীশ মন্দির এবং গির সোমনাথ জেলার সোমনাথ মন্দির বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল ১৬৪টি  উপকূলীয় গ্রামের প্রধানদের সাথে কথা বলেছেন এবং সর্বাত্মক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

    এদিকে, ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এক টুইটে বলেছেন যে তিনি দেশের তিন সেনাপ্রধানের সাথে কথা বলেছেন। ঘূর্ণিঝড় ‘’বিপর্যয়’র প্রভাবে অপ্রত্যাশিত ভূমিধসসহ যেকোনো পরিস্থিতি বা দুর্যোগ মোকাবেলায় সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

    পাকিস্তানে উপকূলীয় বাসিন্দাদের রক্ষায় ব্যাপক প্রস্তুতি

    এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’এর প্রভাব থেকে উপকূলীয় বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্য পাকিস্তানও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে যে সিন্ধুর উপকূলীয় এলাকা থেকে ইতিমধ্যেই ৬৬,০০০ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি বৃহস্পতিবার থেকে বেসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে বলেও জানা গেছে।