জাতীয়

৫টি শূন্য আসনে উপনির্বাচনে সিসিটিভি বসানোর বাজেট নেই: ইসি

বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের কারণে শূন্য হওয়া ৫টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কোনো বাজেট নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো: আলমগীর।

সোমবার নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান নির্বাচন কমিশনার।

ইসি আলমগীর বলেন, এবারের নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কোনো বাজেট নেই। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ দিয়েও সিসি ক্যামেরা স্থাপন সম্ভব নয়। এডিপির অর্থ প্রকল্পে ব্যয় করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, সিসি ক্যামেরার জন্য রাজস্ব খাত থেকে অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। কিন্তু সিসি ক্যামেরা কোনো সমাধান নয়।

নির্বাচন কমিশন সিসিটিভি ক্যামেরার কোনো প্রয়োজন দেখছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। তারপরও কিছু হয়নি।

তিনি আরও বলেন, পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হবে। এতে ভারসাম্য থাকবে। ফলে সিসি ক্যামেরার প্রয়োজন হবে না। নির্বাচনের যথেষ্ট সময় থাকায় কমিশন বৈঠক করে প্রয়োজনে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের পর শূন্য হওয়া পাঁচটি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন আগামী ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে। এই পাঁচটি আসন হলো ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২।

ইসি সচিব বলেন, প্রার্থীরা ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তারা ৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করবেন এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৫ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১১ ডিসেম্বর বিএনপির সাত সংসদ সদস্য একসঙ্গে স্পিকার ড. শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন শিরিন। তাদের মধ্যে পাঁচজন শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকলেও অসুস্থ ও বিদেশে থাকায় দুজন অনুপস্থিত ছিলেন বলে বিএনপি জানিয়েছে।

একই রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আবদুস সাত্তার, বগুড়া-৬ আসনে জিএম (গোলাম মোহাম্মদ) সিরাজ, বগুড়া-৪ আসনে মোশাররফ হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আমিনুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জাহিদুর রহমান জাহিদ ও ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে ঘোষণা করা হয়। খালি সংসদ সচিবালয় গেজেট প্রকাশ করে। শূন্য ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন করার আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের পদত্যাগপত্রে স্ক্যান করা স্বাক্ষর থাকায় তা গ্রহণ করেননি স্পিকার। তাকে আবার আবেদন করতে বলা হয়।

মন্তব্য করুন