• বাংলা
  • English
  • অর্থনীতি

    ৩০ কোটি টাকায় জলাবদ্ধতা দূর করতে চায় চসিক!

    চারদিন আগে হালকা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে চট্টগ্রাম নগরবাসীকে। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য বারবার দাবি জানিয়ে আসছেন নগরবাসী। কিন্তু বুধবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষিত নতুন অর্থবছরের বাজেটে এ সমস্যা বিশেষ গুরুত্ব পায়নি।

    এক দশক ধরে এ খাতে বরাদ্দ থাকায় ঘোষিত বাজেটে এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হয়েছে। খাল, ডোবা, ড্রেন, ড্রেন রক্ষণাবেক্ষণে বাজেটের মাত্র দেড় শতাংশ বরাদ্দ করা হয়েছে। যদিও নগর পরিকল্পনাবিদরা নিয়মিত খাল পরিষ্কারের পাশাপাশি নানা উদ্যোগের কথা বলছেন। অপর্যাপ্ত বরাদ্দের কারণে তা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন তারা।

    সিটি মেয়র মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ১ হাজার ৮৮৭ কোটি ২৮ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে খাল, নালা, ড্রেন ও ড্রেন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) এ খাতে ২৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হলেও ব্যয় হয়েছে মাত্র ৭ কোটি টাকা।

    শহরে ৫৭টি খাল এবং ১৬০০ কিলোমিটার ড্রেন রয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। প্রকল্পের আওতায় ৩৬টি খাল ও ৩০০ কিলোমিটার ড্রেন খনন ও সংস্কার করা হবে। সিটি কর্পোরেশন শহরের বাকি ২১টি খাল এবং ১৩০০ কিলোমিটার ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দায়ী। এই অপর্যাপ্ত বরাদ্দ দিয়ে তা রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী। এটি তার তৃতীয় বাজেট। তিন অর্থবছরের বাজেটে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে বিশেষ কোনো বরাদ্দ রাখতে দেখা যায়নি তাকে। তবে তিনি বলছেন, খালগুলো পুনর্বাসনের জন্য নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

    বাজেটের আকার কমছে

    ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ২,১৬১,২৭৫,০০০ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার বরাদ্দ কমেছে ২৭৩ কোটি ৯৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আগের অর্থবছরেও বাজেটে ৩২০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

    সরকারি অনুদান কমছে

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বাজেটে সরকারি অনুদান ক্রমেই কমছে। নতুন অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে সরকারের কাছ থেকে প্রত্যাশিত উন্নয়ন অনুদানের পরিমাণ ৮৯৪ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে প্রত্যাশা ছিল ১ হাজার ২১২ কোটি টাকা। বিপরীতে এসেছে ৬৪১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। নিজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৫০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরে আয় ধরা হয়েছিল ৯০৪ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেট অনুযায়ী সিটি করপোরেশনের আয় হয়েছে ৫০৬ কোটি ৬০ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

    সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনে বাজেট বক্তব্য পেশ করেন অর্থ ও সংস্থাপন সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. ইসমাইল। এসময় সিটি করপোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসাব কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরসহ ওয়ার্ড কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।