৩০টি অবৈধ ইউ-টার্ন মৃত্যুফাঁদ ত্রিশাল
ত্রিশাল উপজেলার বাগামারী থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাগবাজার পর্যন্ত ২০ কি.মি. এই রুটে ৩০টির বেশি অবৈধ ইউ-টার্ন রয়েছে। এসব ইউ-টার্নের বেশির ভাগই পাঁচটি এলাকায়। তার মধ্যে একটি চেলেরঘাট।
গত বুধবার সেখানে একটি বাসের চাপায় ছয় পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে গত তিন বছরে মহাসড়কের এই অংশে ৫০টিরও বেশি সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অবৈধ ইউ-টার্ন ছাড়াও মহাসড়কের পাশে দাঁড়ানো বাস-ট্রাক এবং বিপরীত দিকে চলাচলকারী থ্রি-হুইলার দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। তারা বলছেন, এসব ইউ-টার্নে সব সময় গাড়ি ঘুরছে।
এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। আবার ময়মনসিংহ শহর থেকে বালুকা নাসির গ্লাস পর্যন্ত মহাসড়কের আশপাশে কোনো বাসস্ট্যান্ড নেই। মহাসড়কে বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন রাখা হয়েছে। রাস্তা সরু হয়ে গেছে।
এর মধ্যে থ্রি-হুইলার (থ্রি-হুইলার) মহাসড়কে উল্টো পথে চলছে। মূলত এসব কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর থানায় মামলার নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল অংশের বেশ কয়েকটি এলাকা চিহ্নিত, যেখানে বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে। এর মধ্যে চেলেরঘাট, বেইলর (বড় পুকুর), কাজী সিমলা, রাগামারা, সাইনবোর্ড অন্যতম। এসব এলাকায় দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে দেখা যায়, অবৈধভাবে চার লেনের সড়ক ডিভাইডার কেটে তৈরি করা ইউ-টার্নে রাস্তা পার হওয়ার সময় এবং যানবাহন ঘুরানোর সময় বেশির ভাগ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বগারবাজার থেকে বগামারী পর্যন্ত সড়ক ও সরকারি সড়কের ডিভাইডারের অন্তত ৩০টি স্থানে কাটা পড়েছে। মহাসড়কের এই অংশগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি আঁকাবাঁকা হওয়ায় এখানে বেপরোয়া গতির যানবাহন ওভারটেক করে দুর্ঘটনা ঘটায়। আঁকাবাঁকা সড়ক ও ডিভাইডারে বড় বড় গাছ থাকায় অনেক সময় অবৈধ ইউ-টার্ন দিয়ে প্রবেশ করা যানবাহন দেখা যায় না। দুই গাড়ির মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। অনেক সময় গাড়ির ধাক্কায় পথচারী নিহত হয়।
অবৈধ ডিভাইডার বন্ধের বিষয়ে ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী সাদ্দাম হোসেন বলেন, স্থানীয় লোকজন তাদের প্রয়োজনে কয়েকদিন পর পর ডিভাইডার ভেঙে যান চলাচলের জন্য রাস্তা তৈরি করে। আমরা কয়েকদিন পর সেগুলো বন্ধ করে দিলেও সেগুলো আবার ভেঙে যায়। ইতোমধ্যে বিষয়টি জেলার উর্ধ্বতন পর্যায়ে জানিয়েছি। শিগগিরই এসব অবৈধ রাস্তা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।