• বাংলা
  • English
  • অর্থনীতি

    ২০২১-২২ আর্থিক বছর।ব্যাংক থেকে সরকার নিয়েছে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা

    বিভিন্ন খাতে সরকারের ব্যয় অনেক বেড়েছে। কিন্তু সে অনুযায়ী আয় হচ্ছে না। সরকার আগের মতো সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নিচ্ছে না। এতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর সরকারের নির্ভরশীলতা বেড়েছে। ২০২১-২২ অর্থ বছরে, সরকার ব্যাঙ্ক থেকে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা নিট নিয়েছে। আগের অর্থবছরে ২৬ হাজার ৭৮ কোটি টাকা ছিল। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের চেয়ে ৪৬ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা বা ১৭৯ শতাংশ বেশি নেওয়া হয়েছে।

    চলতি অর্থবছরে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। গত অর্থবছরের মূল বাজেটে ৭৬ হাজার ৪৪২ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে ৮৭ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা করা হয়। শেষ পর্যন্ত ওই পরিমাণ ঋণের প্রয়োজন পড়েনি। কিন্তু সরকার যে পরিমাণ ঋণ নিয়েছে, তার বড় অংশই নেওয়া হয়েছে গত মেয়াদে। এর আগে, একটি আর্থিক বছরে সর্বোচ্চ ঋণের রেকর্ড ছিল ২০১৯-২০ সালে। ওই অর্থবছরে সরকার ঋণ নিয়েছে ৭২ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা।

    প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত মে পর্যন্ত ১১ মাসে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সরকারি ঋণের পরিমাণ ছিল ৩২ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা। আর গত মাসে নেওয়া হয়েছে ৪০ হাজার ৯৮ কোটি টাকা। এই ঋণের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ প্রদান করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে সরকারের ঋণ বেড়েছে ৩১ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে সরকারের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৫ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকা। আর বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ৪১ হাজার ৩৪৬ কোটি বেড়ে ২ লাখ ১৮ হাজার ৯১৯ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা।

    সংশ্লিষ্টরা জানান, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটসহ নানা কারণে সরকারের ব্যয় অনেক বেড়ে গেলেও সেভাবে আয় বাড়েনি। আবার, প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম ঋণ এসেছে সঞ্চয়পত্র থেকে। গত অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে সরকারের নিট ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩২ হাজার কোটি টাকা। গত মে পর্যন্ত ১১ মাসে এসেছে ১৮ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে সঞ্চয়পত্রে সরকারের মোট ঋণ দাঁড়িয়েছে ৩৬২,২৫১ কোটি টাকা।

    মন্তব্য করুন