১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বসুরহাটে
নোয়াখালীর কমপানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জিয়াউল হক মীর রবিবার রাতে নিশ্চিত করেছেন যে, ১৪৪ ধারা সোমবার সকাল ৮ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ১২ ঘন্টা অব্যাহত থাকবে।
ইউএনও জানিয়েছে, ‘বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যার বিচারের দাবিতে সোমবার বিকেল তিনটায় বসুরহাট রূপালী চত্তরে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলও কাদের মির্জার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দেন। সংঘর্ষ এড়াতে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হতে না হতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। র্যাব-পুলিশ এবং ডিবি নিয়মিত এলাকায় টহল দিচ্ছে।
এর আগে, ২০১৩ সালে, কোমপানীগঞ্জ ছাত্রশিবির ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এ সময় আটজন প্রাণ হারায়। প্রায় আট বছর পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এই সংসদীয় এলাকা আবার অস্থির হয়ে উঠেছে। ৩১ ডিসেম্বর থেকে ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌর মেয়র কাদের মির্জার ‘সত্য বাঁচান’ অস্বস্তি শুরু করে। ধীরে ধীরে এটি সহিংসতায় রূপ নেয়। উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ছে পার্শ্ববর্তী জেলা ফেনীতেও। পারস্পরিক কর্মসূচি চলছে।
শুক্রবার কোম্পানীগঞ্জে কাদের মির্জার একক সভা সত্ত্বেও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল মাঠে নেমেছেন। এরপরে দু’জন অনুগামীদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। আহত হয়েছে ৬০ জন। তাদের মধ্যে কমপক্ষে সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।