জাতীয়

১০কোটি ডোজ টিকা আনছে সরকার।বেসরকারী খাতকেও যুক্ত করার চিন্তা

মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) এর জরুরী অনুমোদনের পরে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সৌদি আরব এবং কাতাসহ বেশ কয়েকটি দেশে ফাইজার বায়োনেটেক ভ্যাকসিন বিতরণ ও ব্যবহার করা হয়েছে। একই সময়ে, আধুনিক ও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন পরীক্ষার ফলাফল অনুমোদনের জন্য আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থায় জমা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় অনুমোদনের পরে চীন, রাশিয়া এবং আরও কয়েকটি দেশ অ্যান্টি-করোনার ভ্যাকসিন ব্যবহার শুরু করেছে। বাংলাদেশে করোনভাইরাস ভ্যাকসিনের অপেক্ষার শিগগিরই অবসান হতে চলেছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

একাধিক সূত্র বলেছে যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগামী শুক্রবারের আগে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন অনুমোদন করতে পারে। সেই অনুমোদনের পরে বাংলাদেশও ভ্যাকসিন পাবে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগটি জানুয়ারীর শেষের দিকে বা ফেব্রুয়ারির শুরুতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন নিয়ে এগিয়ে চলেছে। এ জন্য, দশ জানুয়ারির মধ্যে সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে, সরকার পাশাপাশি বেসরকারী খাত ভ্যাকসিন আমদানির বিষয়টি খোলার চিন্তা করছে। ব্যক্তিগত আমদানির ক্ষেত্রে, বেশ কয়েকটি শর্ত আরোপ করা যেতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন অনুমোদনের সাথে সাথেই এটি পাবে বাংলাদেশ। তবে জনগণের চাহিদা মেটাতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া বিবেচনা করা হচ্ছে। যে কোনও বেসরকারী সংস্থা সরকারী বিধিবিধান অনুসরণ করে ভ্যাকসিন আমদানি করতে পারবে। তবে এই ভ্যাকসিন অবশ্যই একটি বিশ্ব-অনুমোদিত সংস্থা দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে।

এটির অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, যুক্তরাজ্য, জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনুমোদন থাকতে হবে। বাংলাদেশের ড্রাগ প্রশাসন অধিদফতরের একটি নির্দিষ্ট কমিটির অনুমোদনে এই ভ্যাকসিন আমদানি করতে হয়। একই সাথে ভ্যাকসিন বিতরণ সংক্রান্ত সরকারী নির্দেশনাও মেনে চলতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব  বলেন যে ভ্যাকসিনটি জানুয়ারীর শেষের দিকে বা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে পাওয়া যাবে।

মন্তব্য করুন