হেফাজতের তান্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে
গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ হেফাজতের তান্ডবের ঘটনায় পুলিশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরও ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে। জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা কর্তৃক জারি করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৫৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয় জামে মসজিদের মাওলানা হেফাজত নেতা মাওলানা দেলোয়ার হোসেন ওরফে বেলালী এবং হরিণাদি জামে সামজিদের মাওলানা হেফাজত নেতা মাওলানা ইকবাল হোসেন। হেফাজতের দুই নেতা হেফাজত ধর্মঘটের সময় ২৮শে মার্চ স্থানীয় মসজিদের মাইকে গুজব ছড়িয়ে ঘাটুরা থেকে নন্দনপুরে তান্ডবের নেতৃত্ব দেন।
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, হেফাজতের সহিংসতার স্থির ও ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার সকাল থেকে রাত অবধি ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫৬ টি মামলা নিবন্ধিত হয়েছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪ টি, সরাইল থানায় ২ টি এবং আখাউড়া রেলওয়ে থানায় ১ টি মামলা হয়েছে। এই মামলায় ৪১৪ জন আসামি ছাড়াও আরও ৩৫,০০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ঘটনাচক্রে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমনের প্রতিবাদে, হেফাজতের ব্যানারে একটি মাদ্রাসার ছাত্ররা গত ২৬ শে মার্চ বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন আক্রমণ করে এবং ভাঙচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। একই দিন বিক্ষোভকারীরা বঙ্গবন্ধু চত্বরে হামলা করে, জাতির পিতার মুরাল ভাঙচুর করে এবং বিভিন্ন সরকারি ভবনে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়াও, ২৮ শে মার্চ ধর্মঘটের সময় ধর্মঘটের সমর্থকরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করে ৫০ টিরও বেশি সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়।