জাতীয়

হুমায়ুন আজাদ হত্যাকাণ্ড।দেড় যুগ ধরে দুই মামলা ঝুলে আছে

দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে ঢাকার আদালতে বহুমাত্রিক লেখক ও অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলা দুটি বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে। দেশে-বিদেশে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের পর ২০০৪ সালে ফৌজদারি আইনে একটি হত্যা মামলা এবং বিস্ফোরক আইনে আরেকটি মামলা হয়। দুই মামলার মধ্যে হত্যা মামলা যুক্তিতর্ক পর্যায়ে এবং বিস্ফোরক মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

২০১২ সালের ২০ এপ্রিল ঢাকার একটি আদালতে একটি হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। পরবর্তী ১০ বছরে মামলায় ৫৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হলে রায়ের দিন ধার্য করা হবে। অন্যদিকে বিস্ফোরক মামলায় এ পর্যন্ত ১৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ এ বিচারে আসামিরা সুযোগ পাচ্ছে। বিচার নিশ্চিত করাও প্রশ্নবিদ্ধ।

এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে হুমায়ুন আজাদের বড় মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) উপ-পরিচালক মৌলি আজাদ বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছি। তারপরও বিচার শেষ হয়নি। আমরা কি কখনো বিচার পাব না? তিনি বলেন, ব্লগার অভিজিৎ ও প্রকাশক দীপনকে হত্যার অনেক পরেও বাবা হত্যার বিচার শেষ হচ্ছে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে ।আমাদের মামলার বিষয়ে রাষ্ট্র।মুক্তিযুদ্ধের ক্ষমতা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকলেও বিচারের স্থবিরতা আমাদের ভাবিয়ে তোলে।আশা করি, আমার বাবার হত্যার বিচার দ্রুত শেষ হবে।

বিচারের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু বলেন, সাক্ষীদের বারবার তলব করা হলেও তারা হাজির হচ্ছেন না। এ কারণে মামলা দুটির বিচার প্রক্রিয়া ধীরগতিতে চলছে। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিচার শেষ করার চেষ্টা করছি। রাষ্ট্রের অবহেলার কারণে বিচারে বিলম্বের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দু-একজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হাজির হলেই বিচার শেষ করতে রাষ্ট্র আদালতে আবেদন করবে। কারণ ইতিমধ্যে সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে, বিচার শেষে রায় দেওয়া সম্ভব। এটা এখন প্রায় রায়ের পর্যায়ে।

মন্তব্য করুন