হাসিনা-শাহরিয়ার-ইমরানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে গত ৫ মে হেফাজত ইসলামের কর্মসূচিকে ঘিরে ‘নির্বিচারে হত্যা ও লাশ গুম এবং গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধ’ অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, গণজাগরণ মঞ্চের তৎকালীন মুখপাত্র ড. ইমরান এইচ সরকারসহ বিভিন্ন জনকে আসামি করা হয়েছে।
হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি হারুন ইজহার চৌধুরী মঙ্গলবার ধানমন্ডির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তদন্ত সংস্থায় এ আবেদন করেন। আবেদনের সময় তার পক্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম।
গাজী এমএইচ তামিম গণমাধ্যমকে বলেন, আবেদনে ঘটনার তারিখ হিসেবে ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বর এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান, ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা উল্লেখ করা হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়, হেফাজত ইসলামের কর্মীদের সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে নির্মূল করার জন্য ১ থেকে ২৪ নম্বর আসামিদের আদেশ ও পরিকল্পনায় অন্য আসামিরা শহরব্যাপী টিভি চ্যানেলগুলোকে ‘ব্ল্যাক আউট’ করে, সম্প্রচার বন্ধ ও নিয়ন্ত্রণ করে। নির্বিচারে বন্দুকের গুলিতে তাদের হত্যা করে, লাশ গুম করে এবং গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করে।
এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মেনন, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য ড. সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক ও বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান, পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ও বিপ্লব কুমার সরকার।
আসামিদের তালিকায় আরও রয়েছেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সদস্য মুনতাসির মামুন ও তুরিন আফরোজ, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, একাতার টিভির এমডি মোজাম্মেল হক বাবু, সময় টিভির এমডি আহমেদ জোবায়ের, এবি নিউজ সম্পাদক সুভাষ সিংহ রায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান, বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই-এর সাবেক ডিজি মঞ্জুর আহমেদ এবং অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং কিছু বিজিবি, র্যাব, পুলিশ সদস্য এবং কিছু ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার নীতিনির্ধারক। সেই সময়ে