হানিফ সিটি করপোরেশনের কেউ নন, গাড়ি হাতে পান সুসম্পর্ক থেকে
রাজধানীর পান্থপথে ময়লা গাড়ির চালক আহসান কবির খান। হানিফ ওরফে ফটিক ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সদস্য নন। ডিএনসিসিতে কর্মরত ব্যক্তিদের সঙ্গে ‘সুসম্পর্ক’ থাকায় ময়লার গাড়িটি পেয়েছেন তিনি।
শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার পান্থপথে সাংবাদিক আহসান কবির খানের গাড়ি চাপা পড়ে। হানিফ (২৩) গাড়ি চালাচ্ছিলেন। সহকারী হিসেবে তার সঙ্গে ছিল ১০ বছরের এক শিশু। তাদের পান্থপথ দিয়ে গাবতলীতে ময়লা ফেলার কথা ছিল। ওই দিন যথারীতি তিন থেকে চারবার এই সড়কে গাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। তৃতীয়বার ময়লা বহন করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটলে তারা ভয়ে পালিয়ে যায়। মোঃ হানিফ প্রথমে গাবতলী, পরে চাঁদপুরের নানাবাড়িতে আত্মগোপন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হানিফের হাতে হালকা গাড়ি চালানোর সনদ রয়েছে। সিটি করপোরেশনের গাড়ি মেরামতের দোকানে সহকারী হিসেবে সাত থেকে আট বছর কাজ করেন। পরে সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন পদে কর্মরত ব্যক্তিদের সঙ্গে হানিফের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারাও সিটি করপোরেশনের গাড়ি হানিফের হাতে ছেড়ে দিতে থাকে। ২০১৯ সালে, তিনি একটি হালকা যান চালানোর সার্টিফিকেট পান। প্রথমে তিনি একটি ছোট ট্রাক চালান, তারপর তিনি একটি আবর্জনার ট্রাক পান।
খন্দকার আল মঈন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে র্যাব জানতে পারে ময়লার গাড়ি চালানোর জন্য হানিফ কোনো টাকা পায়নি। প্রতিদিন গাড়ির জন্য বরাদ্দ তেল থেকে বেঁচে যাওয়া তেল বিক্রি করতেন হানিফ। এটাই ছিল তার অলিখিত মজুরি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর পান্থপথে ময়লাবাহী ট্রাকের ধাক্কায় সাংবাদিক আহসান কবির খানের মৃত্যু হয়। সে একজনের সাথে মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ার করছিল। পেছন থেকে একটি নোংরা গাড়ির ধাক্কায় তিনি রাস্তায় পড়ে যান। এ সময় গাড়িটি তার মাথার ওপর দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় আহসান কবিরের স্ত্রী নাদিরা পারভীন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় চালককে আসামি করে কলাবাগান থানায় মামলা করেছেন।