• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    হাজী সেলিম জামিনের আবেদন করেছেন

    দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পুরান ঢাকার সংসদ সদস্য হাজী সেলিম জামিনের আবেদন করেছেন।

    হাজী সেলিমের আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রাণ নাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আত্মসমর্পণ করতে রোববার দুপুর ২টার দিকে হাজী সেলিম আদালতে যাবেন।

    তিনি বলেন, হাজী সেলিম আদালতে আত্মসমর্পণের পর জামিন বাতিল হলে তাকে কারাগারে যেতে হবে। সে বিবেচনায় তিনি উন্নত চিকিৎসা ও ডিভিশনের জন্য আবেদন করেছেন।

    দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হাজী সেলিম রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করছেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলও করবেন তিনি।

    সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, হাজী সেলিম চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন। ২৫ মে এর মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

    তিনি বলেন, তিনি (হাজী সেলিম) বিমানবন্দর থেকে সরাসরি আমার চেম্বারে আসেন। সে এখন আত্মসমর্পণ করতে চায়। তবে ১৫ মে পর্যন্ত আদালত বন্ধ রয়েছে। তা ছাড়া ৩০ দিনের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আত্মসমর্পণ করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলও করা হবে। তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

    জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের জন্য আদালত তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়।

    গত ৯ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় হাজী সেলিমের সাজা ১৩ বছর থেকে কমিয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মোঃ মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হক এই রায় দেন।

    তিন বছরের সাজা থেকে খালাস পেয়েছেন হাজী সেলিম। দুই বিচারকের স্বাক্ষরিত ছয় পৃষ্ঠার রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে ট্রায়াল কোর্টে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তিনি আত্মসমর্পণ না করলে হাইকোর্ট তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করবেন।

    এদিকে পূর্ণাঙ্গ রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত হাজী সেলিম ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য হওয়ার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

    আদালতের এই পূর্ণাঙ্গ রায়ের পরও হাজী সেলিম সংসদ সদস্য থাকবেন কিনা বা নৈতিকতার ভিত্তিতে তাকে এই পদে রাখা কতটা যুক্তিযুক্ত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে?

    দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, পূর্ণাঙ্গ রায় ঘোষণার পর তা দুদকের পক্ষ থেকে স্পিকারের কাছে পাঠানো হবে। এরপর স্পিকার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।

    তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল পৃথক দুটি ধারায় হাজী সেলিমকে ১০ বছর ও তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপর হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম।

    মন্তব্য করুন