হাজারী গলির ফার্মেসিতে নষ্ট ইনসুলিন ও টিটেনাস ভ্যাকসিন
নগরীর সবচেয়ে বড় ওষুধের মার্কেট হাজারী গলিতে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এ সময় তিনটি প্রতিষ্ঠানে নয় লাখ টাকার নষ্ট ইনসুলিন ও টিটেনাস ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে। এই ইনসুলিনগুলি ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করার কথা থাকলেও কম তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়। গতকাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তের নেতৃত্বে এ অভিযানে নষ্ট ইনসুলিন ও টিটেনাস ভ্যাকসিন জব্দ করা হয়। তিন কোম্পানিকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা ও সতর্ক করা হয়েছে।
ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত জানান, হাজারী গলির চিত্রেলা কমপ্লেক্সে প্যাসিফিক ট্রেডার্স নামের একটি দোকানে তিন লাখ টাকার নষ্ট ইনসুলিন পড়ে থাকতে দেখা গেছে। প্রতিটি ইনসুলিন ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করা হয়, তবে ঘরের তাপমাত্রায় রেখে দেওয়া হয়।
ফলে তাদের কার্যকারিতা অনেক আগেই হারিয়ে গেছে। মূলত, ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ না করেই পাইকারি দামে ইনসুলিন বিক্রি করে। এসব কারণে দোকান মালিক পল্লব বিশ্বাসকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও বলেন, এরপর একই অভিযোগে নিরুপমা ড্রাগ হাউস ও রাজীব ড্রাগ হাউসে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দুটি দোকান থেকে আনুমানিক ছয় লাখ টাকা মূল্যের নষ্ট ইনসুলিন জব্দ করা হয়। এছাড়া রাজীব ড্রাগ হাউসে প্রচুর পরিমাণে টিটেনাস ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। এই সমস্ত অভিযোগের জন্য আমি দুই দোকান মালিককে ৩-,০০০ এবং মোট ৬০,০০০ টাকা জরিমানা করেছি।
প্রতীক দত্ত বলেন, সঠিক তাপমাত্রায় ইনসুলিন সংরক্ষণ না করায় তিনটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন, অনেকদিন ধরেই অভিযোগ আসছে নির্দিষ্ট কিছু ফার্মেসির ইনসুলিন কাজ করে না। ইনসুলিনের বেশির ভাগই বিদেশ থেকে লাগেজে আসে। এগুলো অননুমোদিত। বাইরে থেকে এনে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। ফলে তাদের কার্যকারিতা তথনই শেষ হয়ে গেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী কমিশনার সুলতানুল আরেফিন ও কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক। মেহেন্দি হাসান।