হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণ ও করণীয়
ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা চিকিৎসায় নিরাময় করা যায় না; বরং একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে হয়।
ডায়াবেটিসের সমস্যা দুই ধরনের – প্রথমত, হঠাৎ করে কিছু সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত, ধীরে ধীরে শরীরে কিছু সমস্যা তৈরি হয়।
যদিও উভয় ধরনের সমস্যাকে সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত, হঠাৎ অসুস্থতার দ্রুত চিকিৎসা করা উচিত।
প্রধানত অসুস্থতা যা হঠাৎ দেখা দেয়
• হাইপোগ্লাইসেমিয়া
• ডায়াবেটিক ketoacidosis
• হাইপারসমোলার নন-কেটোটিক কোমা
হাইপোগ্লাইসেমিয়া
হাইপোগ্লাইসেমিয়া ডায়াবেটিসের সবচেয়ে পরিচিত জটিলতাগুলির মধ্যে একটি। হাইপোগ্লাইসেমিয়া বলতে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক মাত্রার নিচে নেমে যাওয়াকে বোঝায়। সাধারণত রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ৩ মি. আঁচিলের নিচে নেমে যাওয়াকে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বলে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি দুঃস্বপ্ন। গবেষণা দেখায় যে বেশিরভাগ ডায়াবেটিস তাদের জীবনে একবার বা একাধিকবার এটি অনুভব করে।
লক্ষণ: কেউ হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় আক্রান্ত হলে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন মাথাব্যথা, বিভ্রান্তি, ধড়ফড়, অত্যধিক ক্ষুধা, বমি বমি ভাব, ঘাম এবং উত্তেজনা, অস্থিরতা, কাউকে চিনতে না পারা, চেতনা হারানো। কিছু ক্ষেত্রে, উপসর্গ প্রদর্শিত নাও হতে পারে। হাইপোগ্লাইসেমিয়া সাধারণত লক্ষণীয়।
হাইপোগ্লাইসেমিয়ার কারণ: হাইপোগ্লাইসেমিয়া বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যেমন, কোনো খাবার না খাওয়া, অতিরিক্ত ডায়াবেটিসের ওষুধ বা ইনসুলিন গ্রহণ করা, হঠাৎ করে অতিরিক্ত পরিশ্রম করা, অনেক সময় খুব ক্ষুধা লাগলেও না খাওয়া।
চিকিৎসা: হাইপোগ্লাইসেমিয়ার চিকিৎসা খুবই সহজ। এক্ষেত্রে যেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা হল সময়। যত তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হয়, ফলাফল তত ভাল।
কি করো
• রোগীকে দ্রুত গ্লুকোজ দিন।
• গ্লুকোজ না থাকলে চিনি বা মিষ্টি কিছু দিন।
• রোগী অজ্ঞান হলে বা খাওয়াতে অক্ষম হলে তাকে ইনজেকশন দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। এর জন্য, ২৫% গ্লুকোজের ২ ampoules যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইনজেকশন দেওয়া উচিত।
ডায়াবেটিসের সবচেয়ে পরিচিত জটিলতা হল হাইপোগ্লাইসেমিয়া। দীর্ঘ সময় ধরে এ অবস্থা চলতে থাকলে রোগী অজ্ঞান হয়ে যায়। তাই এ বিষয়ে সঠিক জ্ঞান ও সচেতনতা থাকতে হবে।