• বাংলা
  • English
  • বিবিধ

    হবিগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে সংঘর্ষ: এসপি-ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ খারিজ

    হবিগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে গুলি চালানোর ঘটনায় এসপি ও ওসিসহ ৫৪ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে হবিগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুনুর রশিদের আদালত এ আদেশ দেন।আদালত ২০৩ ধারার আবেদন খারিজ করেছে বলেও জানানো হয়। এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে মামলাটি করেন জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম। পরে বিচারক আদেশের জন্য সোমবার দিন ধার্য করেন। অভিযোগে বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ২২ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি সমাবেশ ডেকেছে। সমাবেশের জন্য হবিগঞ্জ পৌরসভার মাঠ ও শিশু পার্ক ব্যবহারের জন্য প্রশাসনের অনুমতি চাওয়া হলেও প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। এরই মধ্যে জনসভা করার বিষয়টি সর্ব মহলে ছড়িয়ে পড়ে। শায়েস্তানগর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা বিএনপি। বরাবরের মতোই বিষয়টি হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু পুলিশ দলীয় কার্যালয়ের সামনে একটি ছোট মঞ্চ নির্মাণে বাধা দেয় এবং গলির পূর্ব ও পশ্চিম দিকে ব্যারিকেড দিতে থাকে। ওই দিন দুপুর ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় নেতারা সভাস্থলে পৌঁছালে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সভাস্থলে জড়ো হতে থাকেন। কিন্তু পুলিশ হবিগঞ্জ শহরের সব প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসিয়ে সভাস্থলে আগত নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি শুরু করে। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগী মেয়র জি কে গউছ ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হাশেম পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পুলিশের প্রতি অনুরোধ জানান। কিন্তু পুলিশ অহেতুক উত্তেজিত ও সহিংস আচরণ করতে থাকে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, একপর্যায়ে পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী, সদর থানার ওসি মাসুক আলীর নির্দেশে সমাবেশস্থলের সামনে ছাত্র মিছিলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ গুলি ছুড়তে থাকে। আহত হয়েছেন প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মী। অভিযোগে বলা হয়, বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে মোট ৬৫৪টি শর্টগান বা ৪৪৭টি শর্টগানের লেড ও ৯০টি গ্যাস-বন্দুকের শর্ট সেল শর্টসেল গুলি করে। মামলার আবেদনে যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা হলেন- হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুক আলী, ডিবির ওসি আল-আমিন, ওসি (তাদন্দ) দাউস মোহাম্মদ, এসআই (নিরস্ত্র) নাজমুল হাসান, এএসআই আবু জাবের। এএসআই বাপ্পি রুদ্র পাল ও এএসআই আলমগীর হোসেনসহ ৫৪ পুলিশ সদস্য রয়েছেন।

    মন্তব্য করুন