হতাশা জুনিয়র সিলেকশন প্যানেলে
জাতীয় দলের নির্বাচকরা জানেন বয়সভিত্তিক নির্বাচক প্যানেলের প্রধান সাজ্জাদ আহমেদ শিপন। ঢাকার অনেক কোচই তা জানেন। এক সময় বয়সভিত্তিক বাছাই প্যানেলের প্রধান ছিলেন শিপন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়সভিত্তিক বাছাই প্যানেলের প্রধান নির্বাচকের পদ বিলুপ্ত হয়েছে, তা কেউ জানায়নি। বৃদ্ধরা এখন অভিভাবকহীন। গেম ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার আবু ইমাম। কাউসারের দেওয়া সূচি মেনে চলা জুনিয়র নির্বাচকদের কাজ। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত টিকে থাকলেও প্রচার হবে না। শুরুতে এবং শেষে একই শব্দ ‘নির্বাচক’। সাজ্জাদ আহমেদ শিপন, এহসানুল হক সিজান এভাবেই উদ্দেশ্যহীনভাবে হাঁটছেন।
বয়সভিত্তিক নির্বাচক প্যানেলে এখন পর্যন্ত চারজন নির্বাচক ছিলেন- হাসিবুল হোসেন শান্ত, হান্নান সরকার, সাজ্জাদুল ইসলাম শিপন এবং এহসানুল হক সেজান। কাজের পরিধি বাড়ায় গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগে নতুন দুই নির্বাচক নিয়োগ করা হয়েছে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মেহরাব হোসেন ওপি এবং সজল চৌধুরী। এতদিন কোচ ছিলেন অপি। বয়সের দিক থেকে তিনি ভালোই ছিলেন। কী মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক এই ওপেনার কোচের পাকা চাকরি ছেড়ে নির্বাচক। তবে তাকে কখনোই খেলা উন্নয়ন বিভাগের বয়সভিত্তিক নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে না। জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলে আসার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। সবচেয়ে বড় কথা, বয়সভিত্তিক নির্বাচকদের ছয় মাসের চুক্তি দেওয়া হয়। চুক্তি নবায়নও হয় নিয়মিত। এই বিভাগ থেকে কাউকে বাদ পড়ার কথা শোনা যায়নি। তারপরও বয়সভিত্তিক ভোটারদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা কাজ করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নির্বাচক বলেন, “ভালো কাজ করার কোনো পুরস্কার নেই। কারণ, এখানে অনুসৃত প্রক্রিয়ায় শর্তাবলী অপরিবর্তিত রয়েছে। আমি কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারি। কোচ হিসেবে ভালো করতে পারলে অন্তত আর্থিকভাবে লাভবান হব।
বিসিবি কয়েক মাস আগে জুনিয়র নির্বাচকদের থেকে পদোন্নতি দিয়ে জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলে দুজনকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই প্রক্রিয়াও থেমে গেছে অজানা কারণে। ক্রিকেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বোর্ড জুনিয়রদের মধ্য থেকে দুজনকে নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। কোন দুইজনকে নেওয়া হবে তা ঠিক হয়নি। আমরাও এই সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। বয়সভিত্তিক নির্বাচক প্যানেলে প্রধান নির্বাচক কেন নেই জানতে চাইলে বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘এখানে কোনো দীর্ঘমেয়াদী খেলোয়াড় নেই। দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে তারা বয়সের শ্রেণীতে উঠে যায়। এই বিভাগে কাজ অ্যাসাইনমেন্ট ভিত্তিক। বয়স ভিত্তিক লিগ বা টুর্নামেন্টে একজন নির্দিষ্ট নির্বাচককে খেলোয়াড় নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। একজন অনূর্ধ্ব-১৯ দলেও মনোনীত হয়েছেন। সেজন্য জুনিয়র নির্বাচকদের প্রধানের প্রয়োজন নেই। মজার বিষয় হলো জাতীয় দলের নির্বাচক খুঁজতে হয়রানির শিকার হন বিসিবি কর্মকর্তারা। পদোন্নতির নিয়ম থাকলে এ নিয়ে চিন্তা করতে হতো না বিসিবিকে। বয়সভিত্তিক দল থেকে কাজ করে জাতীয় দলের নির্বাচক হতে পারতেন হান্নান সরকার। কারণ বয়সভিত্তিক নির্বাচক প্যানেলের সদস্যরাও জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার। বেশ কয়েকজন টেস্ট ক্রিকেটারও আছেন।