হঠাৎ জমিতে লাল নিশান
নেত্রকোনা সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নে যোগবিলের সীমানা নির্ধারণ করেন মৎস্য নেতা সুকুমার বর্মন সৌরভ। জমির মালিক ও স্থানীয়দের অবহিত না করে নেতা কোনও সরকারী কর্মকর্তা ছাড়াই সাধারণ মানুষের জমিতে লাল নিশান টানালেন এবং জমির ধান কেটে ফেললেন ওই নেতা।
রবিবার বাঘরুয়া গ্রামের নুরু ফকির, আবু আলী ফকির, খোদাডিল তালুকদার, নান্নু তালুকদার, বাচ্চু মিয়া সহ ২৫ জন গ্রামবাসী জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা চলছে।
উপজেলার ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের বাগরুয়া, বিলপাড়, খালপাড়, যোগারপাড়, ওয়েদার, তাতিয়ার ও বের্নি গ্রামের মাঝখানে যোগবিল। ওই বিলে কিছু সরকারী খাস জমি রয়েছে। বিলের খনন প্রকল্পের আওতায় ২ মার্চ খনন কাজের উদ্বোধন করা হয়। মৎস্য নেতা সুকুমার বর্মন সৌরভকে খনন কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। শুক্রবার, ভূমি অফিসের কোনও কর্মকর্তা ছাড়াই নেতা, চান্দু মিয়া ও খোকন মিয়া সহ এলাকার কিছু সমর্থকদের সাথে, সরকারী দলের প্রভাবশালী ও প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম ভাঙ্গিয়ে বিলের পাশে সাধারণ কৃষকের জমিতে লাল নিশান টানিয়ে দেন এবং তার লোকজন দিয়ে জমির ধান কেটে ফেলেন ওই নেতা।বিষয়টি যখন এলাকায় প্রকাশ্যে আসে, তখন সাধারণ কৃষকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। রবিবার গ্রামবাসীরা বেকো নামে একটি খনন কাজে ব্যবহৃত একটি সরঞ্জাম বন্ধ করে এবং বিষয়টি তদন্ত করতে ও উপযুক্ত সীমাবদ্ধকরণ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মৎস্য নেতা সুকুমার বর্মন সৌরভ জানান, কৃষকদের জমি বাদে সরকারী জায়গায় খাল খনন করা হচ্ছে। এলাকার কোনও কৃষকের জমি থেকে কোনও ধান কাটা হয়নি এবং কোনও জায়গায় লাল পতাকাও তোলা হয়নি। সরকারী সমীক্ষক সীমানা নির্ধারণ করে লাল পতাকা আঁকেন। আমি কিছুই করিনি, সরকারের পক্ষে কাজ করছি।
ঠাকুরেরকোনা ইউনিয়ন পরিষদের সহকারী সার্ভেয়ার (নায়েব) তানভীর রহমান জানান, কিছুদিন আগে যোগবিলের খনন কাজ উদ্বোধন করা হয়। শুক্রবার ওই অঞ্চলে আমাদের অফিস থেকে কেউই অঞ্চলটি সীমাবদ্ধ করতে যায়নি এবং সেদিন আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও লাল পতাকা উত্তোলন করা হয়নি।
ঠাকুরাকোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, যোগ খুঁটির খনন নিয়ে কিছু সমস্যা ছিল। এলাকায় খনন কাজে নিয়োজিত কৃষক ও লোকজনের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক জিয়া আহমেদ সুমন বলেছেন, জেলা প্রশাসক অসুস্থ ছিলেন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আমি অভিযোগের বিষয় জানি না। অভিযোগ পাওয়ার পরে তদন্তের পরে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।