• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    হওরের মাছের ‘নতুন ঠিকানা’ নাসিরনগর

    জেলেরা নৌকা থেকে মাছের ঝুড়ি তাদের মাথায় টেনে নামিয়ে আনছে। কেউ চিৎকার করে বা গান করে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এর মধ্যে একজনের মাছ বিক্রি শেষ হওয়ার আগেই আরেকজন এসে হাজির।কয়েকশো জেলেরা নিয়মিত মাছ বিক্রির ডাক দিচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতাসহ স্থানীয়রা দর কষাকষির শেষে তাদের পছন্দের মাছ কিনছেন। প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত এমন দৃশ্য দেখা যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার নতুন মাছ বাজারে।

    যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে অন্যান্য জেলা থেকেও নাসিরনগরের এই নতুন বাজারে মাছ আসছে। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম, সাফাকাত, আদমপুর, হবিগঞ্জের লাখাই, মদন এবং উত্তর অঞ্চলের বেশ কয়েকটি হাওর অঞ্চল রয়েছে। হাওর ও নদীতে মিঠা পানির মাছের খ্যাতির কারণে এই চাহিদা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ এবং আশেপাশের জেলাগুলিতে ছড়িয়ে পড়ছে। আড়তদাররা দাবি করেছেন যে প্রতিদিন এই বাজারে গড়ে ৬০ থেকে ৮০ লক্ষ টাকার মাছের লেনদেন হচ্ছে।

    উপজেলার সিনিয়র ফিশারি অফিসার শুভ্র সরকার জানান, অল্প সময়ের মধ্যেই বাজারে বিশাল চাহিদা তৈরি হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে অর্ধ কোটি টাকারও বেশি মাছ এখানে বিক্রি হচ্ছে।

    কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের ফিশমোনার বনবিহারী দাস জানান, তিনি প্রায় ছয় বছর ধরে ভৈরব বাজারে মাছ বিক্রি করছেন। নদীর পথে ভৈরব যেতে হয়। প্রায় সব সময় ডাকাতের ভয়ে থাকতে হয়। নাসিরনগর একটি বাজার হওয়ায় আমাদের এলাকার বড় ব্যবসায়ীরা এখন মাছ বিক্রি করতে এখানে আসেন।

    মন্তব্য করুন