সড়কে বেড়েছে মানুষ, পুলিশও তৎপর
সোমবার করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে সরকার ঘোষিত সাত দিনের কঠোর লকডাউনের পঞ্চম দিনে রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি কিছুটা বেড়েছে। আইন প্রয়োগকারীরাও তৎপরতাও বাড়িয়েছে।
সকাল থেকে রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কগুলিতে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়েছে। মোড়ে মোড়ে তাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। র্যাবসহ আইন প্রয়োগকারী টহলও কিছুটা বেড়েছে।
অনেকে রিকশায় করে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছেন। কিছু লোক প্রতিষ্ঠানের গাড়িতে যাচ্ছেন। মোটর সাইকেল ও অতি জরুরি পণ্যের গাড়ি চলছে। মূল সড়কের চেয়ে গলিতে গলিতে বেশি লোক ছিল। কেউ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে এসেছেন; কেউ কাঁচাবাজারের জন্য এসেছিল। তবে আগের চেয়ে মাস্ক পরার প্রবণতা বেড়েছে।
শহরের শাহবাগ, ফার্মগেট এবং মগবাজারে এলাকা ঘুরে আগের দিনের চেয়ে রাস্তায় বেশি লোককে দেখা গেছে। সপ্তাহের প্রথম দিন ব্যাঙ্ক কর্মকর্তাদেরও দেখা গেছে।
এর আগে লকডাউনের চতুর্থ দিন রবিবার অফিস শুরুর আগে সকালে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে বেশি যানজট ছিল। বিকেলে অফিস ছুটির পরেও রাস্তায় গাড়ি ও রিকশার সংখ্যা বেশি ছিল। দুপুরের মধ্যে রাস্তা প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়।
গাবতলী চেকপোস্টের ডিউটির এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পোশাক শ্রমিকরা চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াত করেন। প্রমাণ সাপেক্ষে চেকপোস্টে শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সহায়তা করা হচ্ছে। যারা এটি প্রমাণ করতে পারেন না তাদের আইনের আওতায় নেওয়া হয়।
লকডাউন শুরু হওয়ার পরে বিনা কারণে বাইরে বের হওয়ায় পুলিশ প্রথম দিন ৫৫০ জন এবং দ্বিতীয় দিন ৩২০ জন, তৃতীয় দিনে ৬২১ জন এবং চতুর্থ দিনে ৬১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
করোনার সংক্রমণের কারণে গত বছর থেকে সরকার চলতি বছর কয়েকদফা লকডাউন ঘোষণা করেছে। সংক্রমণের হারে সাম্প্রতিক বৃদ্ধির ফলে কঠোর লকডাউন নির্দেশনা জারি করা হয়। ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া সর্বশেষ লকডাউন ৭ জুলাই পর্যন্ত চলবে।