স্বাস্থ্যবিধি উধাও। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই।বাজারে ভিড়, মাস্কের প্রতি অনীহা
রমজান দুই সপ্তাহ বাকি। ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ। সামনে ঈদুল ফিতর। এক বছর আগে এই সময় রাজধানীর ফুটপাতের শপিংমলগুলি প্রায় খালি ছিল। কারণ করোনার আক্রমণ ছিল ব্যাপক। কিছু এলাকায় লকডাউন চলছে। ব্যবসায়ীরা এখন গত বছরের লোকসানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর ক্রেতারাও রমজান খাবারের আইটেম কিনতে ব্যস্ত। তবে এমন সময়ে করোনার সংক্রমণ আবার বাড়ছে।
বুধবার করোনায় মোট ৫,৩৫৮ জন সংক্রামিত হয়েছে এবং ৫২ জন মারা গেছে। দ্বিতীয় তরঙ্গ বন্ধে সরকার কিছু নতুন সতর্কতা জারি করেছে। তবে রাজধানীর বেশিরভাগ মার্কেটে সেই নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেট এবং মিরপুর বাজার পরিদর্শন করা হয়, সেখানে মাস্কহীন ক্রেতারা ও বিক্রেতাদের প্রচুর ভিড় ছিল।
দূরত্বের নিয়মগুলি মেনে চলার সামান্যতম চেষ্টাও হয় না। বেপরোয়া বাজারের চিত্র নতুন ভয় বাড়িয়ে তুলছে।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। জ্বলন্ত রোদে এমনকি বাজারের প্রতিটি কোণে হাঁকডাক চলছে। কেউ গ্রাম থেকে কাঁচামাল বিক্রি করতে এসেছেন, কেউ বিক্রিযতে সহযোগিতা করছেন। কিছু শহরের খুচরা বিক্রেতা, কিছু ক্রেতা। ক্রেতা ও বিক্রেতারা ছাড়াও শ্রমিক ও গাড়িচালকের সংখ্যাও কম নয়। বেশিরভাগ মানুষের মুখে মাস্ক নেই।
কারওয়ান বাজারে কাউকে নজরদারি করতে দেখা যায়নি। বাজার কমিটি বা প্রশাসনকেও দেখা যায়নি। তবে কারওয়ান বাজার কাঁচা মাল ব্যবসায়ী ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, তারা বিক্রেতাদের মাস্ক এবং গ্লাভস ব্যবহার করতে বলেন।
রবিবার কয়েকশ লোক রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ভিড় করেন। ভিড়ের মধ্যে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ক্রেতারা পোশাক ও জুতো সহ বিভিন্ন জিনিস নিয়ে দর কষাকষি করছেন। ফুটপাত ছাড়াও নিউমার্কেট, চন্দ্রিমা মার্কেট, নুরজাহান শপিং কমপ্লেক্স সহ এলাকার বেশ কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি রাস্তায় ভিড় রয়েছে। অনেকে মাস্ক ছাড়াই। যদিও প্রতিটি মার্কেটের সামনে একটি স্যানিটাইজার রয়েছে, তবে এক বা দুটি বাদে সবগুলিই অচল।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বরে শাহ আলী সিটি কর্পোরেশন মার্কেট এবং কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুদি দোকান, ফলমূল ও মাছের দোকানে কেনাকাটা করা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো নয়। এখানকার মুদি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী জানান, দোকানের সামনে এসে লোকদের কিছুই করার ছিল না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রশাসনের তদারকি আরও কঠোর হওয়া উচিত।