স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইকবাল কারও প্ররোচনায় কোরআন শরীফকে মণ্ডপে রাখেন
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মনে করেন, ইকবাল হোসেন নামের যে ব্যক্তি কুমিল্লার পূজা মণ্ডপে কোরআন শরীফ রেখে গেছেন, তিনি কারও প্ররোচনায় এটি করেছেন।
তিনি বলেন, তাকে শনাক্ত করা হয়েছে। সে পলাতক। আমরা অনুমান করছি যে সে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। পলাতক ইকবাল হোসেনকে ধরার চেষ্টা চলছে। আমরা তাকে ধরতে পারলে সবকিছু পরিষ্কার হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বলপ্রয়োগে মিয়ানমারের (রোহিঙ্গা) বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইন প্রয়োগ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সভায় সভাপতিত্ব করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইকবাল হোসেন শনাক্তকরণের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ইকবাল হোসেনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি মাজারের সঙ্গের মসজিদে দিবাগত রাত ৩ টার দিকে একাধিকবার গিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কুমিল্লা মাজারের পাশের মসজিদটি একটি বিখ্যাত মসজিদ। লোকটি (যাকে চিহ্নিত করা হয়েছে) ভোর তিনটার দিকে বেশ কয়েকবার (সেখানে) গিয়েছিল। সেখানে তিনি মসজিদের খাদেমের সঙ্গে কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, “আমরা যারা এই কাজে অভিজ্ঞ তারা নিশ্চিত করেছি যে ব্যক্তি মসজিদ থেকে কুরআন নিয়ে এসেছে, এটা তার কাজ।” যতদূর আমরা দেখেছি, লোকটি কোরআন বহন করে মূর্তির কোলে রেখে প্রতিমার হাতুড়ি কাঁধে নিয়ে যাচ্ছে। কার প্ররোচনায়, কার নির্দেশে এই লোকটি এটা করেছে? তিনি পরিকল্পনা করেছেন। সুতরাং আমরা এখনও মনে করি না যে তিনি নির্দেশনা বা প্ররোচিত না করেই এটি করেছেন। আমরা বিশ্বাস করি যে আমরা তাকে ধরতে পারলে বাকি তথ্য উদ্ধার করতে পারব।
ভাইরাল সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে জানা যায়, গত ১৩ অক্টোবর দুপুর ২ টা ১০ মিনিটে দারোগাবাড়ির মাজার থেকে পুকুরের পূর্ব তীরে কোরআনের অনুরূপ একটি বই নিয়ে বেরিয়ে আসেন এক ব্যক্তি। অন্য একটি ফুটেজে, তাঁকে রাত ৩টা ১২ মিনিটে পূজা মণ্ডপ থেকে আসতে দেখা গেছে। সেই সময় তার কাঁধে ছিল হনুমান মূর্তির হাতুড়ি। ধারণা হল, পবিত্র কোরআন যেখানে রাখা হয়েছিল সেখান থেকে যদি গদাটি সরানো না হতো, তাহলে সেখানে রাখা হতো না।
সে সময় রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছিল তাদের প্রায় সবাইকে আমরা গ্রেফতার করেছি। জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত জানাতে পারব। আমাদের নিরাপত্তার কোন দুর্বলতা নেই। ’