স্থায়ী জামিন পেলেন ড. ইউনুস
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত ড. ইউনূসসহ চারজনের জামিন দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া ছয় মাসের সাজার বিরুদ্ধে ড. ইউনূসের আপিল আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আপিল করেন ড. ইউনুস। তার আইনজীবী আবদুল্লাহ আল-মামুন এ তথ্য জানিয়েছেন।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ ৪ আসামিকে ৬ মাসের সাজা দেওয়া হয়।
রায় প্রদানকারী বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার স্বাক্ষরের পর ৮৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।
মামলার হলফনামা থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শন করেন। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইন লঙ্ঘনের কথা জানতে পারেন।
রায়ে বলা হয়েছে, আসামিরা শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে আইনের ৩০৩(৫) ও ৩০৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। যেমনটি প্রমাণিত হয়েছে। , রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ৩০৩(৩) ধারা ও ৩০৭ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের অভিযুক্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো.শাহাজাহানের বিরুদ্ধে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে, উল্লিখিত আইনের ৩০৩ (৩) ধারার অপরাধে তাদের ০৬ (ছয়) মাসের অবৈতনিক কাজের সাজা দেওয়া হয়েছে। ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা ১০ (দশ) দিন বিনা শ্রম কারাদন্ড ও জরিমানা ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার টাকা) জরিমানা এবং ৩০৭ ধারার অধীন অপরাধ অনাদায়ে অতিরিক্ত ১৫ (পনের) দিনের জেল।
ড. মোহাম্মদ ইউনুস ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো: শাহজাহানকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।