রাজনীতি

সোহাগ হত্যা: হেফাজতে ইসলামের নিন্দা

পুরাতন ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। শনিবার (১২ জুলাই) হেফাজতে আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী এবং মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানানো হয়। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, “চাঁদাবাজির টাকা না দেওয়ার কারণে পুরাতন ঢাকার মিটফোর্ডে প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তায় পাথর ছুঁড়ে এক স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই এবং খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি।” তারা বলেন, “শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও নীতিমালা গ্রহণ করে, বিএনপিকে অবিলম্বে তার অঙ্গ সংগঠনগুলিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে এবং দলীয় চাঁদাবাজি ও হত্যার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।” আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত পুলিশ বাহিনীতে মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে। পুলিশ বাহিনীতে ফ্যাসিবাদের চিহ্নিত সহযোগীদের বহিষ্কার করতে হবে এবং নতুন নিয়োগ দিতে হবে। পুলিশ বাহিনীর আমূল সংস্কার না হলে দেশে চাঁদাবাজি, খুন এবং রাজনৈতিক দুর্নীতি বন্ধ হবে না। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে, এমনকি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও দায় এড়াতে পারবে না। হেফাজত নেতারা বলেন, আমরা আগেও বলেছি, যেখানে সরকার ও প্রশাসন ব্যর্থ হয়, সেখানে দেশপ্রেমিক জনগণ এবং জুলাই বিপ্লবী ছাত্ররা এগিয়ে আসবে। আমরা জুলাই ছাত্রদের রাজনৈতিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই। বিএনপি নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে তারা বলেন, আজ আপনাদের দলে জিয়াউর রহমানের আদর্শ অনুপস্থিত। দলাদলি, চাঁদাবাজি এবং হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা সম্ভব নয়। রাজনৈতিক দুর্নীতির সেই অমানবিক সংস্কৃতি আমরা কাটিয়ে উঠেছি। গত বছরের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছি। জুলাই বিপ্লব জনগণের আকাঙ্ক্ষা এবং একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল। তারা বলেন, আলেম সম্প্রদায় এবং নতুন প্রজন্মই সেই বিপ্লবের মূল স্থপতি। তাদের বিপ্লবী কণ্ঠস্বর এবং অদম্য আবেগকে উপেক্ষা করলে ভালো ফল হবে না। এই পরিবর্তিত নতুন বাংলাদেশে টিকে থাকতে হলে একটি সুস্থ ও মানবিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। অন্যথায়, নতুন বিপ্লবী প্রজন্ম দেশ ও জাতির স্বার্থে আবারও রাস্তায় নামতে দ্বিধা করবে না।