সোনিয়াকেও বাঁচানো বাচাঁনো গেল না।মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৬ জনের মৃত্যু
মৌলভীবাজারের জুড়ীতেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশু সোনিয়া আক্তার (৮) মারা গেছে। এ নিয়ে একই পরিবারের মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬ জনে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে সোনিয়ার চাচা আবদুল আজিজ তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আবদুল আজিজ জানান, সোনিয়াকে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরই ও মারা যান। লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরছি।
সোনিয়ার বাড়ি উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রাম। সে স্থানীয় গোয়ালবাড়ী উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ভোরে বজ্রপাতের সঙ্গে ঝড়ে সোনিয়ার টিনের বাড়ির ১১ হাজার ভোল্টের পল্লী বিদ্যুতের লাইন ভেঙে যায়। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার বাবা ফয়জুর রহমান (৫০), মা শিরি বেগম (৪৫), বড় বোন সামিয়া সুলতানা (১৪), সাবিনা আক্তার (১১) ও ছোট ভাই সায়েম আহমদ (৭)সহ পাঁচজন মারা যান।
এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলীকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুতায়ন বোর্ড।