সেগুনবাগিচার বাসা থেকে চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে আবুল হোসেন চৌধুরী (৬৯) নামে এক চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে তার লাশ পাওয়া যায়। অসুস্থতার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে স্বজন ও পুলিশ।
পুলিশ জানায়, আবুল হোসেন চৌধুরী সেগুনবাগিচায় ৬/২ নম্বর বাড়ির এ-১১ নম্বর ফ্ল্যাটে একা থাকতেন। বুধবার বিকেলে পরিচ্ছন্নতাকর্মী তার বাড়ি থেকে ময়লা-আবর্জনা তুলতে গেলে কলিং বেল বাজায়। দীর্ঘক্ষণ কোনো সাড়া না পাওয়ায় সন্দেহ হয় তার। বিষয়টি তিনি ফ্ল্যাট মালিক সমিতির নেতাদের জানান। তারা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা চেয়েছিল। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল্লাহ জানান, খাটের পাশের ঘরের মেঝেতে লাশ পড়ে ছিল। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অসুস্থতার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের পর তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
নিহতের ভাতিজা আশরাফুল আলম সাংবাদিকদের জানান, আবুল হোসেন চৌধুরী অস্ট্রেলিয়ায় ভেটেরিনারি চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরে দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে কানাডায় চলে যান। ১০ বছর আগে পরিবারের সদস্যদের সেখানে রেখে তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন। এরপর থেকে সেগুনবাগিচা বাড়িতে একাই থাকতেন। ১৮ জুলাই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেষ কথা বলেন তিনি। এরপর আর কারও সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে।
এর আগে গত ৫ জুলাই রাজধানীর বড় মগবাজার এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে আরেক নিঃসঙ্গ চিকিৎসকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার নাম ইকবাল উদ্দিন আহমেদ (৭২)। তিনি একসময় সৌদি আরবে অর্থোপেডিক সার্জন হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার সময় তার স্ত্রী ও মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন।