• বাংলা
  • English
  • বিবিধ

    সেই ‘পল্লবের’ আস্তানায় প্রশাসনের দিনভর অভিযান

    কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রশাসন কক্সবাজার শহরের চারটি এলাকায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনা করেছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা।

    ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের (টিইউএসি) সাধারণ সম্পাদক নুরুল কবির পাশা পল্লব ও কামাল পাশার ছেলে ও তার স্ত্রী রুপা পাশা কক্সবাজার শহরের কলাতলী সৈকতপাড়া এলাকায় পাহাড় কাটছিলেন। সেখানে অভিযান চালিয়ে পাহাড় কাটার বেলচা, কোদাল, মাটি পরিবহনের ট্রলি ও সিসিটিভি ক্যামেরার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এসময় পাহাড় কাটার কর্তনকারীরা পালিয়ে যায়। পাহাড়ে প্রায় দেড় লাখ ঘনফুট মাটি উত্তোলন করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানটি সিলগালা করে জড়িতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপর কক্সবাজার পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাদশাঘোনা এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

    বান্দরবান মৌজার লালমোহনবাগান এলাকার চমশিম বোমের মেয়ে মাঙ্গাই বোম প্রকাশ মেঘা ও কক্সবাজার শহরের মোহাজের পাড়া এলাকার মৃত ফকির আহমেদের ছেলে রবি আলম দুই মাস ধরে সীমানা প্রাচীরের পাশে স্থাপনা নির্মাণের জন্য সরকারি পাহাড় কেটে নিচ্ছিলেন। বাংলাদেশ নৌবাহিনী। সেখানে প্রায় ১২০,০০০ ঘনফুট মাটি কাটা হয়।

    সরকারি পাহাড় কাটা অভিযানের নির্মাণাধীন কাজ বন্ধ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার নির্দেশ দেন ইউএনও। সর্বশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয় কক্সবাজারের কলাতলী বাইপাস রোডের বিকাশ বিল্ডিং এলাকায়। দুই স্পটে শ্রমিক ও খননকারীরা পাহাড় কাটছে উখিয়ার রাজাপালংয়ের ছিদ্দিক আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ ইলিয়াছ, কক্সবাজারের কলাতলীর মৃত জাফর আলমের ছেলে নুরুল আলম ভুট্টো, কলাতলী আদর্শগ্রামের মৃত শাহাবুদ্দিনের ছেলে শাহ আলম, মুন্না ও অন্যান্য. পাহাড় কাটার কাজে ব্যবহৃত খনন যন্ত্র জব্দ করে ইউএনও মামলার নির্দেশ দেন। অভিযানে কক্সবাজার সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নিজামী, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা বলেন, আশংকাজনক হারে পাহাড় কাটা চলছে। পাহাড় কাটার সরঞ্জাম জব্দ, সিলগালা করে নিয়মিত বিচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাহাড় কাটা রোধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনভায়রনমেন্টাল পিপল-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল মজিদ বলেন, “কক্সবাজারে নির্বিচারে শত শত পাহাড় কাটা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরকে জানানো হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে এনভায়রনমেন্টাল পিপল। জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে, পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দিয়ে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে কক্সবাজারের পাহাড় রক্ষা করা সম্ভব হবে না।