সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন: আলোচনায় শোকজ ও আচরণবিধি
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনী প্রচারণায় ভোট ও ভোটারদের মধ্যে শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দুই বিষয় নিয়েই বেশি আলোচনা।
সম্প্রতি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল হুদা মুকুটের স্ত্রী হুসনা হুদাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে জয়া সেনগুপ্তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক ও সুনামগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. গত রোববার সন্ধ্যায় তিনি এ আবেদন করেন।
ক্রাউনের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক নির্বাচনী এলাকায় বিশেষ করে ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় অবস্থান করে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী খায়রুল কবির রুমেনের ঘোড়া মার্কার প্রচারণায় অংশ নেন।
একই দিন পৃথক অভিযোগে সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্তার বিরুদ্ধেও খায়রুল কবির রুমেনের ঘোড়া মার্কার প্রচারণায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে এই দুই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ক্রাউন।
এ প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের আগে জেলা কমিটির বৈঠকে পাঁচজন সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে আলোচনা হয়। এরপর এ নিয়ে আর কোনো আলোচনা হয়নি। দলের নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অপেক্ষায় আছি। ঘরে ঘরে প্রচার করছি, শুনতে খারাপ লাগছে।’ এদিকে জয়া সেনগুপ্তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন সাধারণ সম্পাদক এম এনামুল কবির ইমন। বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এনামুল কবির ইমন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী খায়রুল কবির রুমেনের ছোট ভাই।
অন্যদিকে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুসনা হুদাকে দল সমর্থিত প্রার্থীর পরিবর্তে স্বামীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর কারণে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে নুরুল হুদা মুকুট বলেছেন, তার স্ত্রী কোথাও তার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেননি।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি নুরুল হুদা মুকুটের ছোট ভাই জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। যার জবাবে ভাইয়ের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ না নেওয়ার কথা বলেন চপল।