সিরাজগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় বিজয়ী কাউন্সিলর নিহত
নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার কারণে প্রতিপক্ষরে আঘাতে সিরাজগঞ্জ সদর পৌরসভায় তরিকুল ইসলাম নামে একজন বিজয়ী কাউন্সিলর প্রার্থী নিহত হয়েছেন। নিহত তারিকুল ইসলাম নতুন শহরের নতুন ভাঙ্গাবাড়ি মহল্লার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল কুদ্দুসের ছেলে। শনিবার রাতে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শহীদগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট গণনা করার সময় প্রতিপক্ষের হাতে ছুরিকাঘাত ও ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ভোট গণনার সময় তারিকুল ইসলাম বিরোধী দলের সমর্থকদের সাথে ঝগড়া করেন এবং কাউন্সিলর প্রার্থী শাহাদাত হোসেন বুদিন গ্রুপকে পরাজিত করেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি দ্বন্দ্বে রূপান্তরিত হয়। শাহাদাত হোসেন বুদিন গ্রুপের লোক ও সমর্থকরা তরিকুলকে মারধর করে এবং ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তিনি গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যান। উদ্ধার করে শহরের অ্যাভিসেন্না হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ আড়াইশ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। এই ঘটনার পর সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগ এড়াতে শহীদগঞ্জ, বাইপরিপাড়া ও গুদার বাজার এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা জানান, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বুদ্দিন ২ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। পৌরসভার ৮ জন এবং বিএনপি সমর্থক প্রার্থী তরিকুল ইসলাম ডালিম কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তার মামলার সমর্থকরা অনলাইনে উপলব্ধ এই বিবৃতিটির প্রকৃত প্রতিলিপি তৈরির জন্য কাজ করছেন। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের আক্রমণে বিজয়ী কাউন্সিলর তরিকুল গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। পুলিশ তরিকুলের লাশ উদ্ধার করে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন-উর-রশিদ খান হাসান জানান, নিহত তারিকুল বিএনপির সমর্থক ছিলেন।